দুর্গাপুরে বিকট বিস্ফোরণে আতঙ্ক, হাসপাতলে ভর্তি যুবক, পাড়া ক্ষুব্ধ

single balaji

দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের ম্যাক্সমুলার পাথ বুধবার দুপুরে পরিণত হয় এক আতঙ্কের নগরে। বিকট শব্দ, ধোঁয়ার কুণ্ডলী আর আতঙ্কের চিৎকারে কেঁপে ওঠে আবাসিক এলাকা। বাড়ির ভেতরে চলছিল ফায়ার এক্সটিংগুইশার রিফিলিং-এর কাজ। আচমকাই ঘটে যায় বিস্ফোরণ। গুরুতর জখম হন টেকনিশিয়ান দেবরাজ সোম। বর্তমানে তিনি গুরুতর অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন গান্ধী মোড়ের একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

💥 বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পাড়া

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের বাড়ির জানালার কাঁচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে ছিটকে পড়ে। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু হয় পুরো এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, অনেকবার আপত্তি সত্ত্বেও বাড়ির মালিক আবাসিক এলাকায় বিপজ্জনক কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন।

এক পাশের বাড়ির এক গৃহকর্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন—

“যখন ব্লাস্ট হল, আমাদের বাড়ির জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ল। আতঙ্কে কী করব বুঝতে পারিনি। এভাবে প্রাণ হাতে নিয়ে থাকতে হচ্ছে।”

🔧 কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?

সহকর্মী আজাদ খানের অভিযোগ—

“এক্সটিংগুইশারটি পুরনো ছিল। নাইট্রোজেন ভরার সময় অতিরিক্ত চাপে সেটি ফেটে যায়। দেবরাজবাবুর হাত ও পেটে গুরুতর চোট লেগেছে।”

❓ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

এখন প্রশ্ন উঠছে—

  • আবাসিক এলাকায় কীভাবে অনুমতি ছাড়া রিফিলিং-এর কাজ চলছিল?
  • প্রশাসনের নজরদারি কোথায়?
  • যদি অক্সিজেন বা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হত, তাহলে কি পুরো পাড়া বিপর্যস্ত হয়ে যেত না?

📢 এলাকাবাসীর দাবি

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঘটনা অবহেলার ফল এবং এর দায় কারও ঘাড়ে চাপিয়ে এড়ানো যাবে না। তাদের দাবি, অবিলম্বে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

একজন প্রবীণ বাসিন্দার কথায়—

“আজ জানালার কাঁচ ভাঙল, কাল হয়তো প্রাণ যাবে।”

ghanty

Leave a comment