কাঁকসা: সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস সকাল ১০টার মধ্যে খুলে কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু কাঁকসার মোলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে মঙ্গলবার সকাল ১০টা হোক বা ১১টা— কোথাও কর্মচারীদের দেখা মেলেনি। অফিসের দেওয়ালে ঝোলানো ঘড়িও প্রায় ১০ মিনিট পিছিয়ে চলছিল, যেন সময়ের কোনও মূল্যই এখানে নেই।
অফিসের সামনে চায়ের দোকানে দেখা গেল চতুর্থ শ্রেণির কর্মী তুষারকান্তি মুখোপাধ্যায়কে চা খেতে। প্রশ্ন করতেই তিনি স্বীকার করলেন— “প্রধান আসেননি, উপপ্রধান আসেননি, কর্মচারীরাও আসেননি।” অর্থাৎ দরজা খোলা থাকলেও কাজ একেবারে বন্ধ। ভেতরে একজন অস্থায়ী কর্মী চুপচাপ বসেছিলেন, আরেকজন বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন। কবে কাজ শুরু হবে, তা তাঁরাও জানতেন না।
এই দৃশ্য দেখে এক পথচারী ঠাট্টা করে বললেন— “এই অফিস হয়তো রোদ-বৃষ্টি দেখে খোলে।”
বিষয়টি নিয়ে সিপিএমের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন— “সেবা কিছুটা মেলে বটে, কিন্তু কর্মীরা সময়মতো আসেন না। মনে হচ্ছে, উন্নয়নের জোয়ারে এঁরাও ভেসে গেছেন।”
অন্যদিকে, কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবকুমার সামন্ত জানান— “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হবে। সত্য প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এখন দেখার বিষয়— প্রথম পদক্ষেপ নেবে অফিস প্রশাসন, নাকি অফিসের দেওয়ালে ঝোলানো ঘড়ি!












