দুর্গাপুর: পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর সরকারি কলেজে সোমবার দুপুরে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের প্রিন্সিপাল দেবনাথ পালিতের বদলির পিছনে রয়েছে এক সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কারণ, কিছু অধ্যাপক দীর্ঘ ছয় মাস ধরে নিয়মিতভাবে ক্লাস নিচ্ছিলেন না এবং এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করলে প্রিন্সিপাল সরাসরি ব্যবস্থা নেন। সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকদের সতর্ক করা হয়। এর জেরেই নাকি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রিন্সিপালকে বদলির চাপে ফেলা হচ্ছে।
এই ঘটনায় সোমবার দুপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ও সমর্থকরা কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন। তাঁদের দাবি, “প্রিন্সিপালের বদলিকে মানা হবে না, শিক্ষার পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে।”
কলেজের একাংশ ছাত্রদের অভিযোগ, কিছু প্রফেসর নিয়মিত ক্লাস না নেওয়ার ফলে তাঁদের শিক্ষাজীবনে প্রভাব পড়ছে। তাঁরা প্রিন্সিপালকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি উদ্যোগী হয়ে পদক্ষেপ করেছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র-শিক্ষক দ্বন্দ্ব এখন রাজনৈতিক রং পেয়ে কলেজ চত্বরে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
অভিভাবকদের একাংশও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, “প্রিন্সিপাল শিক্ষার মান রক্ষার চেষ্টা করছেন বলেই তাঁর বদলির ফন্দি আঁটা হচ্ছে। যদি সত্যিই বদলি হয়, তবে কলেজের শৃঙ্খলা আরও ভেঙে পড়বে।”
বর্তমানে কলেজ চত্বর ও আশপাশে টানটান উত্তেজনা। পুলিশও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার এই অভিযোগ এবং ছাত্রদের দাবির প্রতি কী পদক্ষেপ নেয়।












