আসানসোলে পথকুকুরকে খাওয়াতে গিয়ে দম্পতিকে মারধর, থানায় অভিযোগেও নেই ব্যবস্থা!

unitel
single balaji

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমানঃ
ঘটনাটি ঘটেছে হিরাপুর থানার অন্তর্গত বার্নাপুর এমসিটি পল্লিতে। অভিযোগ, এলাকার পথকুকুরদের খাবার খাওয়াতে গিয়ে এক দম্পতিকে মারধর করেছে স্থানীয় দুই মহিলা ও এক যুবক। আক্রান্ত দম্পতি নূপুর শর্মা ও সঞ্জীব শর্মা জানান, তারা যখন এলাকার দুটি ছোট্ট কুকুরছানাকে খাবার খাওয়াচ্ছিলেন, তখন হঠাৎই তিন অভিযুক্ত তাঁদের হাতে থাকা খাবার ছিনিয়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং অশোভন আচরণ শুরু করে।

নূপুর শর্মা ঘটনাটির ভিডিও মোবাইলে তুলতে গেলে এক মহিলা তাঁকে বারবার চড় মারতে শুরু করে, ফলে নূপুর মাটিতে পড়ে যান। স্বামী সঞ্জীব তাঁকে বাঁচাতে গেলে যুবকটি তাঁকে ধাক্কা মেরে মারধর করে। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তরা তাঁদের স্কুটির চাবি কেড়ে নিয়ে হুমকি দেয়—“আবার যদি কুকুরদের খাওয়াতে আস, তাহলে আরও খারাপ পরিণতি হবে।”

ভুক্তভোগী দম্পতি ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনার দিনই তাঁরা হিরাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু অভিযোগ, তিন দিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি।

উল্লেখ্য, এর আগেও উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে এক মহিলাকে পথকুকুরকে খাওয়াতে গিয়ে মারধরের ঘটনা সামনে এসেছিল, যার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

আসানসোলেই দু’দিন আগে আরেকটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। হিরাপুর থানার বার্নপুর এমসিটি পল্লিতে বিকাশ মণ্ডল নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, সে আটটি পথকুকুরকে বিষ খাইয়ে দেয়। এর মধ্যে ছ’টি কুকুর মারা গেছে, বাকি দুটি কুকুর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। এলাকার প্রাণপ্রেমীরা চিকিৎসার মাধ্যমে ওই দুটি কুকুরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এবং থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে পুলিশের হাতে ওই যুবক ধরা পড়ে।

প্রাণপ্রেমী সংগঠনগুলির দাবি— একের পর এক ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে পথকুকুরদের সুরক্ষা ও প্রাণীদের প্রতি সচেতনতার অভাব রয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি, নইলে এই ধরনের হামলা ও প্রাণী নির্যাতন আরও বাড়বে।

ghanty

Leave a comment