আসানসোল, কুলটি:
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্টডাউন শুরু হতেই পশ্চিমবঙ্গে দলীয় কৌশল সাজাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার কুলটি বিধানসভা কার্যালয়ে এক বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল জেলা বিজেপি সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য। বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল—বুথ স্তরে সংগঠনকে এতটাই শক্তিশালী করা, যাতে কোনো বিরোধী অনুপ্রবেশ সম্ভব না হয়।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কুলটির বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার, জেলা সম্পাদক উপাসনা উপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক কেশব পোদ্দার, অর্জিত, অপূর্ব হাজরা-সহ একঝাঁক জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্ব। বৈঠকে দু’জন নেতাই বিশেষভাবে জোর দিলেন আধুনিক পদ্ধতিতে বুথ সশক্তিকরণে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ—‘ই-এক্সপ্যানশন’ (e-vistark) প্রকল্প ও ‘ঘরে ঘরে ভোটার লিস্ট পর্যালোচনা অভিযান’।
জেলা সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্যের ভাষায়, “এই বুথ শক্তি অভিযান কেবল কর্মসূচি নয়, এটা মিশন। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি বুথে বিজেপিকে অভেদ্য দুর্গে পরিণত করা।” অন্যদিকে, বিধায়ক ডাঃ অজয় পোদ্দার জানিয়েছেন, “এই রোডম্যাপ বুথ ইনচার্জ ও মণ্ডল সভাপতিদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে। বুথ স্তর থেকেই বিজয়ের ভিত্তি রচিত হবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সম্পাদক সত্যজিৎ দাস, মণ্ডল সভাপতি সঞ্জু ঘোষ, মনমোহন রায়, অমর প্রসাদ, বুথ ইনচার্জ শ্রী মাঞ্জি, কুলটির বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা সমাজসেবী টিঙ্কু বর্মা, কাজল দাস, মহুয়া রায়, সোমেন চক্রবর্তী, রাজু যাদব, সিদ্ধার্থ চৌহান, আদিত্য সিংহ, টিনু চক্রবর্তী, কবি সিংহ, হেমন্ত মাজি প্রমুখ।
তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে বৈঠক প্রমাণ করল—কুলটিতে বুথ স্তর থেকে বিজেপির সংগঠন এখন সম্পূর্ণ নির্বাচনী মোডে। বৈঠক শেষে অনেকে বলছেন, এটা শুধু দিকনির্দেশমূলক সভা নয়, বরং ২০২৬-এর ভোটযুদ্ধে বিজেপির এক প্রাথমিক শক্তি প্রদর্শন।
রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে—বুথ শক্তি অভিযানকে কেন্দ্র করে বিজেপি কি আদৌ কুলটিকে ‘মডেল বিধানসভা’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে?