[metaslider id="6053"]

দুর্গাপুরে কড়া নিরাপত্তায় ক্লাস্টার–ভি মিট, শিশু সুরক্ষায় নতুন বার্তা

দুর্গাপুর:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় এবং কলকাতা হাইকোর্টের জুভেনাইল জাস্টিস কমিটির তত্ত্বাবধানে দুর্গাপুর মহকুমা শাসক ভবনে আয়োজিত ক্লাস্টার–ভি মিট ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবনের প্রতিটি প্রান্তে পুলিশি টহল, চেকিং এবং সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। বহিরাগতদের প্রবেশ কার্যত নিষিদ্ধ রাখা হয়।

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি শম্পা রায় এবং আরও এক বিচারপতি। পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ও হুগলি জেলার জেলা বিচারক, অতিরিক্ত জেলা বিচারক, মহকুমা আদালতের বিচারক, প্রশাসনিক কর্তারা এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের কর্মকর্তারা।

মূল আলোচ্য বিষয় ছিল— শিশু সুরক্ষা, পুনর্বাসন, শিশুদের ন্যায়বিচার এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের কার্যকর প্রয়োগ। বিচারপতিদের মতে, শিশুদের প্রতি অন্যায় বা অপরাধ এড়াতে শুধু আইনি পদক্ষেপ নয়, সমাজকল্যাণমূলক পরিকল্পনা এবং প্রশাসনিক সমন্বয়ও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বৈঠকে জোর দেওয়া হয় চার জেলার মধ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ গড়ে তোলার ওপর, যাতে শিশু সুরক্ষা কমিটি ও প্রশাসনিক দপ্তর দ্রুত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের পুনর্বাসন, শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং পুনর্গঠনমূলক পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব উঠে আসে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, শিশু অধিকার রক্ষায় আদালত ও প্রশাসনের মধ্যে এই ধরনের ক্লাস্টার মিট ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, “শিশু সুরক্ষা নিয়ে কোনও প্রকার গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। আদালত ও প্রশাসন একযোগে কাজ করলেই শিশুদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।”

ghanty

Leave a comment