আর.জি.কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসক অভয়ার ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর ফের শোরগোল রাজ্যে। এবার সরাসরি ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পথে নেমেছে ন্যায়বিচার মঞ্চ তথা ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা পুনর্বিচার মঞ্চ।

মঞ্চের সভাপতি ও কনভেনর ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান—
👉 “অভয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ড মানব সমাজের কাছে লজ্জার, কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের নামে যারা ক্রাউড ফান্ডিং করে কোটি টাকা তুলেছে, তাদের অপরাধ কোন অংশে কম নয়।”

তাঁর দাবি,

• জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট প্রায় ৪ কোটি টাকা ফান্ড তুলেছিল, যার মধ্যে প্রায় দেড় কোটি টাকার কোনও বিল নেই।
• বাকি ২.৫ কোটি টাকারও কোনও হদিস নেই।
• শিল্পী অসিত সাই যিনি অভয়ার মূর্তি বিনা পারিশ্রমিকে নির্মাণ করেছিলেন, তাঁর নামেও ভুয়ো বিল তৈরি হয়েছে।
• আন্দোলনের সময় অনেক ডাক্তার হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালিয়েছেন, যার ফলে বহু অসহায় রোগী চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারিয়েছেন।

ড. গোস্বামীর তির্যক মন্তব্য—
👉 “গুণ্ডারা অনুষ্ঠান করে টাকা তোলে, কিন্তু ডাক্তার হয়ে আরেক ডাক্তারের মৃত্যুকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ টাকা কামায়, তবে তা মানব সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক।”

ন্যায়বিচার মঞ্চের সদস্য অনামিকা মণ্ডল ও স্বপন দাস জানান, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোস, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে ডেপুটেশন দিয়েছেন। প্রয়োজনে আইনি লড়াই এবং বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সদস্যা গীতাঞ্জলি সেন বলেন—
👉 “চন্দ্রচূড় বাবুর নেতৃত্বে আর.জি.কর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে আমরা প্রতিবাদ শুরু করেছি। আগামী দিনে এই আন্দোলন শুধু বাংলায় নয়, সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়বে।”

রাজনৈতিক মহল ও চিকিৎসক সমাজে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। অনেকের প্রশ্ন—
➡️ আন্দোলনের নামে কোটি টাকার এই দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে, জুনিয়র ডাক্তারদের ভবিষ্যৎ কী হবে?
➡️ আর অভয়ার জন্য শুরু হওয়া প্রতিবাদ কি তবে শুধুই স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল?