আসানসোল:
টানা বৃষ্টিতে কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকা কার্যত জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান একেবারেই বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীরা কাদামাটিতে ভরা জলপথ পার হতে না পেরে বাড়িতেই আটকে পড়ে। অভিভাবকরা জানান, ছোট ছোট বাচ্চাদের এমন বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে স্কুলে পাঠানো সম্ভব ছিল না।

বৃহস্পতিবার রাতভর বৃষ্টিতে শুধু স্কুল নয়, এলাকার বহু বাড়িতেও জল ঢুকে পড়ে। ঘরের আসবাবপত্র থেকে চাল-ডাল পর্যন্ত পানিতে ভাসতে দেখা যায়। বহু পরিবারের রান্নাঘরে জল উঠে যাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ ব্যাহত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে ড্রেন পরিষ্কার হয় না। পঞ্চায়েতের উদাসীনতায় নিকাশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ফলে প্রতি বর্ষাতেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘আমরা কি শুধু কর দেওয়ার জন্যই আছি? আমাদের বাঁচার অধিকার নেই?’’

কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান নসিম হায়দার মালিক স্বীকার করেছেন যে, বহু এলাকা এখন জলমগ্ন। তবে তিনি ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ‘‘আমি নিজেই সকাল থেকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নেমে নালা পরিষ্কার করছি। সমস্যা মেটাতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’’

📌 তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অস্থায়ী পরিষ্কার বা পাম্প বসালেও জল নামছে না। স্থানীয়দের দাবি, স্থায়ী ড্রেনেজ পরিকল্পনা ছাড়া এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে না।
শিক্ষক মহলও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বারবার পড়াশোনা ব্যাহত হলে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

👉 কাঁকসার মানুষ এখন একটাই দাবি তুলছেন — ‘‘ড্রেন পরিষ্কার নয়, টেকসই নিকাশি প্রকল্প চাই।’’