বরাকর, প্রতিবেদন: সঞ্জীব কুমার
পবিত্র শ্রাবণ মাস উপলক্ষে বরাকর চেম্বার অফ কমার্স-এর সদস্যরা রবিবার সুলতানগঞ্জের উদ্দেশ্যে কাঁধে কांवড় তুলে রওনা হলেন বাবা ভৈরবনাথের জলাভিষেক করার উদ্দেশ্যে। রওনা হওয়ার আগে চৌকবাজারের শ্রী মারোয়ারি পাঁচায়েতী ঠাকুরবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে ভোলেনাথের পূজা-অর্চনা ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
🚩 ভক্তি, উৎসাহ ও সমাজকল্যাণের অনন্য যাত্রা
প্রতি বছরের মতো এবছরও চেম্বারের সদস্যরা সড়কপথে “বোল বম” ধ্বনি দিতে দিতে সুলতানগঞ্জ হয়ে দেবঘর রওনা হন।
বারাকার চেম্বার অফ কমার্স-এর সভাপতি শিবকুমার আগরওয়াল জানান—
“আমরা শুধুমাত্র ধর্ম নয়, সমাজকল্যাণের ভাবনা নিয়ে বহু বছর ধরে এই যাত্রা করে আসছি। সুলতানগঞ্জে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর, আমরা কাঁধে কांवড় তুলে পদযাত্রা শুরু করি। ভক্তিময় পরিবেশে ভজন শুনতে শুনতে দেবঘর পৌঁছে বাবাকে জল নিবেদন করি এবং বাশুকিনাথ ধামে জলাঞ্জলি দিয়ে বাড়ি ফিরে আসি।”
🙏 শ্রদ্ধা ও সাহসের প্রতীক – কাঁভর যাত্রা
এই যাত্রা শুধু এক ধর্মীয় রীতি নয়, বরং ভক্তি, ধৈর্য ও মানসিক দৃঢ়তার এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
এবারের কাঁভার যাত্রায় যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য –
🔹 মিঠু মাধোগড়িয়া
🔹 রাজেশ আগরওয়াল
🔹 শিক্ষক প্রদীপ গৌহানিওয়াল
🎉 বিদায়ের শুভেচ্ছা বারাকার পিঞ্জরাপোল সোসাইটির পক্ষ থেকে
বরাকর পিঞ্জরাপোল সোসাইটির সম্পাদক অর্জুন আগরওয়াল সকল কাঁভারিয়াদের মঙ্গলময় যাত্রার কামনা করে বিদায় জানান। তিনি বলেন:
“এই ধরণের উদ্যোগ সমাজে একতা এবং ধর্মীয় চেতনা বাড়ায়। নতুন প্রজন্মকে সংস্কৃতির সাথে যুক্ত রাখার জন্য এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।”
🛕 শিবের আশীর্বাদ – জীবনের সমস্ত কষ্টের পরিত্রাণ
শিবভক্তদের বিশ্বাস, শ্রাবণে বাবাকে জল অর্পণ করলে সমস্ত পাপ মোচন হয় ও জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এই কাঁভার যাত্রা শারীরিক কষ্টের মধ্যেও মানসিক শান্তি ও আত্মিক আনন্দের প্রতীক।