আসানসোল/চুরুলিয়া/ডুবুরডিহি, পশ্চিম বর্ধমান:
পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে অবস্থিত ডুবুরডিহি চেকপোস্ট থেকে চৌরঙ্গী মোড়ের পাশেই রামপুর এমভিআই (মোটর ভেহিকল ইন্সপেকশন) চেকপোস্ট—আজ তা ট্রাকচালকদের কাছে ভয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ, এখানে প্রকাশ্যে চলছে তোলাবাজি ও ঘুষ আদায়ের খেলা!

ট্রাক ঢুকলেই বেআইনি এন্ট্রির নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে পড়তে হচ্ছে হাজার হাজার টাকার জরিমানা।

💬 “৩২ হাজার জরিমানা, কিন্তু ছাড়ল ৬,২০০ টাকায়? তাহলে বাকি টাকা কোথায় গেল?”

সম্প্রতি রাজস্থান থেকে মার্বেলবোঝাই একটি ট্রেলর (RJ 14 JG 1751) মাত্র তিন টন ওভারলোডের অভিযোগে তিন দিন ধরে আটক ছিল। চালক খুরশিদ জানান, “আমি গাড়ি ওজন করানোর অনুরোধ করেছিলাম, কেউ শুনলো না। আমি ৩২ হাজার দিতে রাজি ছিলাম, তাহলে অন্তত ৩ টন মার্বেল দিতো!” তিনি একজন আইনজীবীও আনেন, কিন্তু তাকেও হেনস্থা হতে হয়।

শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে মাত্র ৬,২০০ টাকায় গাড়ি ছাড়া হয়। তাহলে বাকি ২৬ হাজার টাকা গেল কোথায়?

😠 “এটা ট্রাফিক নয়, এটা ট্র্যাজেডি” – চালকদের গর্জন

প্রতিদিন শত শত ট্রাক এই এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়ে। চালক ও খালাসিরা ধৈর্য হারিয়ে এখন কাঁদছে, ক্ষুব্ধ। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার উপর তাদের আস্থা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে।

ট্রাকচালক খুরশিদ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে কেউ শান্তিতে গাড়ি চালাতে পারে না। প্রতিটি মোড়ে টাকা না দিলে রাস্তা পার হওয়া যায় না।”

🔍 “ব্রোকার দিয়ে ঘুষ, যারা দেয় না তাদের হয়রানি!”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওভারলোড এবং ওভারহাইট গাড়িগুলিকে দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে প্রবেশ করানো হচ্ছে, যার সঙ্গে এমভিআই অফিসারদের সরাসরি যোগসাজশ রয়েছে। যারা এই অবৈধ কারবারে অংশ নেয় না, তাদের গাড়িকে হাজার হাজার টাকার জরিমানা করে আটকে রাখা হয়।

⚠️ পেছন ধাওয়া করে দুর্ঘটনা, তারপর পলায়ন!

এমভিআই-এর পেট্রোলিং গাড়ি একাধিকবার ট্রাকের পেছনে ধাওয়া করতে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হয়েছে। দুর্ঘটনার পর অফিসারেরা স্থান ছেড়ে পালিয়ে যায়, যেন কিছুই ঘটেনি!