রিপোর্ট: সঞ্জীব কুমার যাদব | কুলটি
পশ্চিম বর্ধমান জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি রবি যাদব ঘোষণা করেছেন যে, তিনি ২১ জুলাই থেকে জেলা শাসকের দফতরের সামনে অনশন সত্যাগ্রহে (ভূখা হরতাল) বসবেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে রানি বাঁগলা (বরকার) প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের উন্নয়ন প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রিতা এবং জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের জর্জরিত অবস্থা।
রবিবার সংবাদমাধ্যমে রবি যাদব বলেন, “২০২১ সালে আবেদন, ২০২২ সালে স্বাক্ষর অভিযান, ২০২৪ সালের জুলাইতে অনশন — এরপর CMOH-এর স্তরে বৈঠক হয়, যেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে ৩০ দিনের মধ্যে টেন্ডার ও ৬০ দিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কিন্তু আজ ১১ মাস কেটে গেলেও কাজ শুরু হয়নি, টেন্ডারও হয়নি।”
🏥 ৮৭টি হাসপাতাল, ৩০টির ভবন প্রস্তুত — কিন্তু তালা ঝুলছে
রবি যাদব জানান, আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে ৮৭টি আরবান হেলথ ইউনিট প্রস্তাবিত। এর মধ্যে ৩০টিরও বেশি ভবন তৈরি হয়ে গেছে, কিন্তু সবগুলোতে তালা ঝুলছে। চিকিৎসক নেই, সুবিধা নেই — সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে।
🚑 ESI, জেলা হাসপাতালেও আধুনিক চিকিৎসার ঘাটতি
তিনি অভিযোগ করেন, ICU, NICU, ইমার্জেন্সি মেডিকেল রেসপন্সের মতো মৌলিক পরিষেবাও নেই। অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় মৃতদেহও ঢাকা অবস্থায় পাঠানো সম্ভব হয় না। গুরুতর রোগীদের কলকাতা বা দুর্গাপুরে রেফার করা হয়, যেখানে আবার সঠিক চিকিৎসা মেলে না।
🆘 স্বাস্থ্য সাথী কার্ড — প্রচার অনেক, চিকিৎসা শূন্য!
সরকার যেখানে বলছে, 2.4 কোটির বেশি পরিবার কাভার, 2800+ হাসপাতাল ইম্প্যানেল, 95 লক্ষের বেশি হসপিটালাইজেশন, রবি যাদব বলছেন, “বাস্তবতাটা ভয়াবহ”।
- ছোট পলিসি লিমিট
- অনেক রোগ কভারেই নেই
- এমার্জেন্সিতে রোগী ফিরিয়ে দেওয়া হয়
- অপারেশন বন্ধ, বাইরে থেকে টেস্ট ও ওষুধের চাপ
- প্রাইভেট হাসপাতালের বিল ৪০-৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু
- দরিদ্র মানুষ চিকিৎসা করাতে পারেন না
- টাকা না দিলে দেহ দেওয়া হয় না
- নার্সিং হোমগুলোর কোনও মূল্যায়ন বা নিয়ন্ত্রণ নেই
- অভিযোগ করারও জায়গা নেই, সরকারও নিশ্চুপ
✊ “এই অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবেই” – রবি যাদব
তিনি স্পষ্ট বলেছেন, “এটা শুধু অনশন নয়, এটা স্বাস্থ্য অধিকারের জন্য এক সামাজিক সংগ্রাম। এই লড়াই চলবে যতদিন না সমস্যার সমাধান হয়।”