বরাকর থেকে বিশেষ প্রতিবেদন
বরাকর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন সকালবেলা যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ হট্টগোল ও যানজট। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে না কোনো বাস ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, না ট্র্যাফিক পুলিশের তদারকি। যার ফলে বাসচালকদের অবাধ দৌরাত্ম্য চলছে। বাসস্ট্যান্ড যেন নিয়মহীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
🚌 রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস, গালিগালাজে উত্তপ্ত পরিস্থিতি
রবিবার সকাল ৭:৫৫ মিনিটে ‘দুর্গাপুর মালবাঃ’ এবং ৮:০০ টায় ‘নবদুর্গাঃ’ বাস বরাকর থেকে যথাক্রমে দুর্গাপুর ও মেমারির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু দুই বাসই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে শুরু করে, ফলে প্রধান রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে বাসকর্মীরা গালিগালাজ ও অশালীন আচরণ শুরু করে।
এই ঘটনা নিত্যদিন ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ। বারাকরের বাসস্ট্যান্ডে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একই পরিস্থিতি থাকে।
❌ বন্ধ হয়ে গেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ রুটের বাস
স্থানীয় বাস মালিকদের দাদাগিরির কারণে বহু রুটের বাস বন্ধ হয়ে গেছে বা বারাকর স্ট্যান্ড না ঢুকে অন্য রুটে ঘুরে যাচ্ছে। যেমন:
- বরাকর-কলকাতা
- বরাকর-বালুরঘাট
- বরাকর-ভাগলপুর
- বরাকর-রাঁচি
- বরাকর-কুল্যাণী
- বরাকর-আরামবাগ
- বরাকর-সাবিত্রী মেল
বলা হচ্ছে, অনেক বাসের রোড পারমিট বারাকর থেকে হলেও তারা চিত্তরঞ্জন বা আসানসোল থেকে ঘুরে যাচ্ছে। যার কারণে স্থানীয় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে।
📣 গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও বিবৃতি:
- জিতেন্দ্র পণ্ডিত (স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডবাসী): “রোজকার সকালটা আতঙ্কের মতো কাটে। কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে আসে না। শহরে জ্যাম স্থায়ী সমস্যা হয়ে উঠেছে।”
- কেলাশ যাদব (বাস এজেন্ট): “বাইরের বাসগুলো আসতে চায় না, কারণ এখানে যাত্রী তুলতে গিয়ে হাঙ্গামা হয়। এর ফলশ্রুতিতে বহু বাস বন্ধ হয়ে গেছে।”
- বাবু ব্যানার্জী (ইনটক সেক্রেটারি): “টোটো ও অটো রাস্তা দখল করে রাখে। ৩০ জুলাই ট্র্যাফিক ইনচার্জ সঞ্জীব সরকারের সঙ্গে বৈঠক হলেও কিছুই হয়নি।”
- বাবু দত্ত (INTTUC সভাপতি, কুলটি ব্লক): “সমস্যা গুরুতর। সমস্ত বাসকর্মীদের সঙ্গে বসে একে একে সমাধান করা হবে।”