[metaslider id="6053"]

বাস আছে, নিয়ন্ত্রণ নেই! বারাকরে যাত্রী তুলতেই শুরু হয় যুদ্ধ!

বরাকর থেকে বিশেষ প্রতিবেদন

বরাকর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিদিন সকালবেলা যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ হট্টগোল ও যানজট। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে না কোনো বাস ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, না ট্র্যাফিক পুলিশের তদারকি। যার ফলে বাসচালকদের অবাধ দৌরাত্ম্য চলছে। বাসস্ট্যান্ড যেন নিয়মহীনতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

🚌 রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস, গালিগালাজে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

রবিবার সকাল ৭:৫৫ মিনিটে ‘দুর্গাপুর মালবাঃ’ এবং ৮:০০ টায় ‘নবদুর্গাঃ’ বাস বরাকর থেকে যথাক্রমে দুর্গাপুর ও মেমারির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু দুই বাসই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে শুরু করে, ফলে প্রধান রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে বাসকর্মীরা গালিগালাজ ও অশালীন আচরণ শুরু করে।

এই ঘটনা নিত্যদিন ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ। বারাকরের বাসস্ট্যান্ডে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একই পরিস্থিতি থাকে।

❌ বন্ধ হয়ে গেছে বহু গুরুত্বপূর্ণ রুটের বাস

স্থানীয় বাস মালিকদের দাদাগিরির কারণে বহু রুটের বাস বন্ধ হয়ে গেছে বা বারাকর স্ট্যান্ড না ঢুকে অন্য রুটে ঘুরে যাচ্ছে। যেমন:

  • বরাকর-কলকাতা
  • বরাকর-বালুরঘাট
  • বরাকর-ভাগলপুর
  • বরাকর-রাঁচি
  • বরাকর-কুল্যাণী
  • বরাকর-আরামবাগ
  • বরাকর-সাবিত্রী মেল

বলা হচ্ছে, অনেক বাসের রোড পারমিট বারাকর থেকে হলেও তারা চিত্তরঞ্জন বা আসানসোল থেকে ঘুরে যাচ্ছে। যার কারণে স্থানীয় যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে।

📣 গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও বিবৃতি:

  • জিতেন্দ্র পণ্ডিত (স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডবাসী): “রোজকার সকালটা আতঙ্কের মতো কাটে। কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে আসে না। শহরে জ্যাম স্থায়ী সমস্যা হয়ে উঠেছে।”
  • কেলাশ যাদব (বাস এজেন্ট): “বাইরের বাসগুলো আসতে চায় না, কারণ এখানে যাত্রী তুলতে গিয়ে হাঙ্গামা হয়। এর ফলশ্রুতিতে বহু বাস বন্ধ হয়ে গেছে।”
  • বাবু ব্যানার্জী (ইনটক সেক্রেটারি): “টোটো ও অটো রাস্তা দখল করে রাখে। ৩০ জুলাই ট্র্যাফিক ইনচার্জ সঞ্জীব সরকারের সঙ্গে বৈঠক হলেও কিছুই হয়নি।”
  • বাবু দত্ত (INTTUC সভাপতি, কুলটি ব্লক): “সমস্যা গুরুতর। সমস্ত বাসকর্মীদের সঙ্গে বসে একে একে সমাধান করা হবে।”
ghanty

Leave a comment