আসানসোল-জামতাড়া সীমান্ত |
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী জামতাড়া জেলার নোলা থানার কালীপাথর এলাকায় বুধবার গভীর রাতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ২৫ দিনের টানা বর্ষণে একটি কাঁচা মাটির দেওয়াল ধসে পড়ে এবং তার নিচে চাপা পড়ে ২.৫ বছর বয়সী শিশু মণীষ হেমব্রম এবং তার ঠাকুমা ৭০ বছরের মনোদি হেমব্রমের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার সময় শিশুটির মা পীতল কিস্কু দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্য শিবধন হেমব্রম শোকাকুল কণ্ঠে জানান,
“যদি অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো আসত, তাহলে আজ আমার মা ও ছেলে বেঁচে থাকত। আমার গোটা পরিবার শেষ হয়ে গেল।”
🚨 অভিযোগ: ফোন করেও এল না 108 অ্যাম্বুলেন্স
বিজেপির জেলা সভাপতি সুমিত সরণ জানান,
ঘটনার পরপরই তিনি ঝাড়খণ্ড সরকারের টোল ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স নম্বর 108-এ ফোন করেন। ফোনে অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে কথা হলেও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে আসেনি। বাধ্য হয়ে ভাড়া গাড়িতে তিনজনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়, যেখানে ডাক্তাররা শিশু মণীষকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসারত অবস্থায় মনোদি হেমব্রমও প্রাণ হারান।
🏥 প্রশাসন নড়েচড়ে বসল
ঘটনার খবর পেয়ে জামতাড়া ডিসি রবি আনন্দ, এসডিপিও ও বিডিও বিষয়টি সার্কেল অফিসার (CO)-এর উপর তদন্তের দায়িত্ব অর্পণ করেন। নোলা থানার পুলিশ ও CO ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ ও সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
😢 স্বামী শিবধন হেমব্রমের আর্তনাদ
“আমার ছেলেও গেল, আমার মা-ও। বউটা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এটা শুধু একটা দুর্ঘটনা নয়, আমার জীবনটাই শেষ হয়ে গেল।”
📣 জনদাবি ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
- দুর্গত পরিবারকে অবিলম্বে মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
- প্রত্যন্ত এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সঠিকভাবে চালু করতে হবে
- কাঁচা বাড়ির জরিপ করে সরকারের পক্ষ থেকে পাকা বাড়ি নির্মাণে সহায়তা দিতে হবে
- 108 অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে