• nagaland state lotteries dear

“অপরাধীদের রক্ষা করা হচ্ছে” – কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবিরোধী কটাক্ষ

কলকাতা:
কলকাতার এক ল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই শুরু হয়েছে খোলাখুলি বিদ্রোহ। শনিবার (২৮ জুন, ২০২৫) দলের প্রবীণ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স (পূর্বতন টুইটার)-এ পোস্ট করে দলের অফিসিয়াল বিবৃতির বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেন।

তিনি লেখেন,
“আমি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ওই বিবৃতির সঙ্গে একেবারেই সহমত নই। সেখানে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর অবস্থান নেই, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

🔺 কল্যাণের বিস্ফোরক প্রশ্ন:

তিনি লেখেন,
“যতক্ষণ না অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে সরাসরি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, ততক্ষণ এসব একাডেমিক বিবৃতি নিছক প্রহসন ছাড়া কিছু নয়।”
কল্যাণ আরও দাবি করেন, ২০১১ সালের পর উঠে আসা কিছু নেতাও এমন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন, যাদের ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।

তিনি আরও বলেন,
“আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, আমি তাদের সঙ্গে একমত নই যারা এই অপরাধীদের উৎসাহ দিচ্ছেন বা রক্ষা করছেন। আমার বক্তব্য বুঝতে হলে ন্যূনতম নৈতিক ও বৌদ্ধিক বোধ থাকা জরুরি—যেটা দুঃখজনকভাবে অনুপস্থিত।”

🔻 তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া:

এই মন্তব্যের পরই তৃণমূল কংগ্রেস একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্রর মন্তব্য “তাদের ব্যক্তিগত মত”, এবং “পার্টির অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।” দল আরও জানায়,
“আমরা এই মন্তব্য থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছি এবং তীব্র নিন্দা করছি।”
তৃণমূল জানায়,
“নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর, এবং আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানাই।”

🔍 রাজনৈতিক বিশ্লেষণ:

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিদ্রোহী অবস্থান তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরে গভীর ফাটলের ইঙ্গিত দেয়। একদিকে দল নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের দাবি করছে, অন্যদিকে তাদেরই প্রবীণ সাংসদ সেই দাবিকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন।

এই ঘটনার ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও দলকে আরও চাপে ফেলবে বলে রাজনৈতিক মহলের মত। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এই বিবৃতি কাজে লাগিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছে।

ghanty

Leave a comment