বাঁকুড়া:
বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ও ব্লক ২-এর সীমান্তবর্তী প্রায় ৮-১০টি গ্রামে মাছির এমন উপদ্রব শুরু হয়েছে যে, মানুষ সারাদিন মশারির ভেতরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে রান্না, খাওয়া, এমনকি দৈনন্দিন কাজও মশারির মধ্যে করতে হচ্ছে।
🐟 হ্যাচারির দায়ে মাছির প্লাবন, রোগ ছড়াচ্ছে দ্রুত
কাশিবেদিয়া, তেঘরি, বাঘজুড়ি, জগন্নাথপুর, দলদলি, পদ্যাশোল, বেলিয়া–সহ আশপাশের গ্রামগুলিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মাছি হ্যাচারি (মাছচাষ কেন্দ্র) থেকে বেরিয়ে পড়ছে। ফলত, আন্ত্রিক, ডায়ারিয়ার মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।
🚫 “খাবারে মাছি, বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছে না”
স্থানীয়রা বলছেন:
“মাছির ঝাঁক খাওয়ার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। খাবার নষ্ট হচ্ছে। সারাদিন বাচ্চাদের মশারির ভেতরে রাখতে হচ্ছে।”
অনেক বাড়িতে দরজার সামনেও মশারি টাঙানো হচ্ছে, যাতে মাছির হাত থেকে কিছুটা রেহাই মেলে।
🛣️ আগেও রাস্তা অবরোধ, তবু ফল শূন্য
প্রায় একমাস আগে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। হ্যাচারি মালিক এবং প্রশাসনের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এক মাস কেটে গেলেও কোনও স্পষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে সোমবার ফের গ্রামবাসীরা হ্যাচারির সামনে বিক্ষোভ করেন।
🌧️ বৃষ্টিকে দোষ দিচ্ছে হ্যাচারি, গ্রামবাসীরা বলছেন “ভুলে গেছি বিশ্বাস করতে”
হ্যাচারির দাবি, মাছি নিয়ন্ত্রণে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে। যদিও স্থানীয়দের বক্তব্য,
“শুকনো প্রতিশ্রুতি আর শুনতে চাই না। এবার কাজ চাই, না হলে আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হব।”
❗ এখন প্রশ্ন একটাই —
এই ‘মাছি-সন্ত্রাস’ থেকে বাঁকুড়াবাসী কি আদৌ মুক্তি পাবে?