আসানসোলের রাণীগঞ্জ-জামুড়িয়া শিল্পাঞ্চলের ১১টি শিল্প ইউনিটে বেআইনি নির্মাণ ইস্যুতে রাজনীতি চরমে। আসানসোল পুর নিগম এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে এবং জরিমানা সহ নির্মাণ অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন, আর তিওয়ারি অভিযোগ করেছেন যে প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
নিগম রিপোর্টে যা যা বেআইনি নির্মাণ ধরা পড়েছে:
- মাঙ্গলাম ডিজাইনার্স (MSTC বিল্ডিং) – ৫৭,৪৯২.০৬ স্কোয়ার ফিট
- স্বস্তিক রোড নং ৪ – ৫৩৮.৫৬ স্কোয়ার ফিট
- এইচএসজি স্টিল প্রা. লিমিটেড – ৪০৬.২০ স্কোয়ার ফিট
- বিএমটিসিএল কোম্পানি – ১১,৬৫৫ স্কোয়ার ফিট
- সঞ্জীবনী ক্যাপস অ্যান্ড ক্লোজার্স প্রা. লিমিটেড – ২৩,৪৭৪ স্কোয়ার ফিট
- এপিকে স্টিল – ৮৭০ স্কোয়ার ফিট
- বোক মোটরস, মারুতি শোরুম – ৩২,৮৮১ স্কোয়ার ফিট
- আরএসআই স্পঞ্জ আয়রন প্রা. লি. – ৩২,৭৫৯.৮৭ স্কোয়ার ফিট
- বালাজি স্টিলস – পরিমাণ নির্ধারিত হয়নি
- হর্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং – ৭৬,৬০৭.৬৬ স্কোয়ার ফিট (₹২.৫ লক্ষ জরিমানা)
- নটরাজ স্টিলস – ৩,২১৩.১৫ স্কোয়ার ফিট
- এমসন ইঞ্জিনিয়ারিং – ৪,৮৬৮ স্কোয়ার ফিট
- বালাজি ইন্ডাস্ট্রিজ – ১২,৮৭২.৪৫ স্কোয়ার ফিট (₹২.৪৬ লক্ষ জরিমানা)
🗣️ জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিস্ফোরক অভিযোগ:
বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরের পর বছর ধরে নির্মাণ চলছে। মেয়র নিজেই সব জানতেন, এখন রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়ে নিজেকে রক্ষা করছেন। প্রশাসনের নীরবতা প্রমাণ করে এটা একটা ছল।”
🛑 বিধান উপাধ্যায়ের কড়া জবাব:
মেয়র বলেন, “যখন তিওয়ারি নিজে মেয়র ছিলেন, তখন কেন এই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা হয়নি? সেই সময়ের বোর্ড মিটিংয়ে এই কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এখন পুরসভা উদ্যোগ নিয়েছে যাতে রাজস্ব বাড়ে এবং নির্মাণ শৃঙ্খলায় ফিরে আসে।”
তিনি আরও জানান, ওয়ার্ডভিত্তিক রিপোর্ট ও নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে নির্মাণ চললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
📌 উপসংহার:
আসানসোলের বেআইনি নির্মাণ ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। যেখানে পুর নিগম রিপোর্ট দিয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরছে, সেখানে বিরোধী পক্ষ এটিকে “সিস্টেমের ব্যর্থতা” হিসেবে তুলে ধরছে। এখন দেখার বিষয়, এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত হবে আইনি পদক্ষেপ নাকি শুধু রাজনৈতিক বাকযুদ্ধেই সীমাবদ্ধ থাকবে?
