📍 মেমারি | প্রতিনিধি: সুমন বিশ্বাস
রাস্তায় ছাইয়ের গাদায় পড়ে থাকা এক মুমূর্ষু অজ্ঞাতপরিচয় যুবক — কথা বলার ক্ষমতা নেই, নিথর দেহ কাঁপছে অসহায়ভাবে! আর ঠিক এই সময় একদল সাংবাদিক ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের মানবিক হস্তক্ষেপে বাঁচানো গেল ওই যুবকের প্রাণ।
বর্তমান সমাজে পুলিশ বা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কার্যকলাপ নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও, পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার দুই সিভিক রামকৃষ্ণ মালিক ও তাপস রায়ের এই মানবিক মুখ মানুষকে নতুন আশার আলো দেখাল।
🛑 কীভাবে শুরু হয় ঘটনা?
মেমারি যাওয়ার পথে জিটি রোডের পাশে নদিপুর এলাকায় এক সাংবাদিক তার পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে জানতে পারেন, রাস্তায় একজন অসুস্থ যুবক পড়ে আছেন। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই সাংবাদিকদের সংগঠনের সম্পাদক আনোয়ার আলী ও পোষাধ্যক্ষ পার্থশেখর অধিকারীকে জানানো হয়। এরপর তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
👮♂️ সিভিকদের মানবিকতা — হাত দিয়ে পরিষ্কার, তারপর হাসপাতালে
খবর পেয়ে উপস্থিত হন সিভিক ভলেন্টিয়ার রামকৃষ্ণ মালিক ও গ্রাম পুলিশ তাপস রায়। তাঁরা নিজের হাতে ওই যুবককে পরিষ্কার করে তুলে নেন। আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ হতবাক হয়ে দেখেন এই মানবিক দৃশ্য। দেরি না করে মুমূর্ষু যুবককে মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান সিভিকরা। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন।
📝 সাংবাদিকের দায়িত্ব শুধু খবর নয় — সমাজের পাশে দাঁড়ানোও
এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সাংবাদিকতার কাজ শুধু তথ্য পরিবেশন নয়, সমাজের প্রতিও রয়েছে বড় দায়। পার্থবাবু ও আনোয়ার দার মতো সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সমাজকে বার্তা দেওয়া যায় — সত্যিকারের সাংবাদিকতা শুধু কলমে নয়, হৃদয়ে ফুটে ওঠে।
