📍 আসানসোল | ৫ জুন ২০২৫ | রিপোর্ট – বিশেষ সংবাদদাতা
আসানসোল পুরনিগমে যেন শুরু হয়ে গেছে এক অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ। তৃণমূল কংগ্রেসেরই কাউন্সিলর ও সংগঠনের নেতা একের পর এক সরব হচ্ছেন নিজেদের দলের পরিচালিত বোর্ডের বিরুদ্ধে। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রণবীর সিং ভরাড়া ওরফে জীতু সিং এবার সরাসরি পুরনিগম প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রশাসনিক গাফিলতির বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন।
🔥 “১০ কোটির হোর্ডিং-পার্কিং বকেয়া, ৫১০ কোটির ফ্যাক্টরি দেনা!”
গত বোর্ড মিটিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন—
“আমি ১০ কোটিরও বেশি হোর্ডিং ও পার্কিং-এর বকেয়ার প্রসঙ্গ তুলেছিলাম। অথচ আদায়ের কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ১২টি কারখানা ৫১০ কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে, মেয়র বলেছিলেন ১৫ দিনের মধ্যে আদায় হবে—কিন্তু আজও হল না!”
🏗️ ফুটপাথে অবৈধ নির্মাণ, ‘ফেল’ মেয়রের উন্নয়ন প্রকল্প!
জীতু সিংয়ের আরও অভিযোগ, পুরসভার ফুটপাথ সংস্কার প্রকল্প একেবারেই ভেস্তে গেছে। সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে স্থায়ী নির্মাণ চলছে, অথচ প্রশাসন চোখ বুজে আছে।
🧨 “মেয়র মানমোহন হয়ে গেছেন!”
মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে তিনি বলেন—
“মেয়র মানমোহন সিংয়ের মতো—সৎ কিন্তু চারপাশে দুর্নীতিবাজে ঘেরা। যদি এখনই কঠোর হন না, তিনিও sidelined হয়ে যাবেন।”
🔄 “১০ বছর ধরে এক পদে কেন? অন্য বরোতে বদলি করুন!”
তিনি বলেন, এমন বহু আধিকারিক রয়েছেন, যারা ১০ বছর ধরে একই পদে রয়েছেন, যা চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনের নিয়মের পরিপন্থী। তাঁদের অন্য বরোতে বদলি করে নতুন মুখদের নিয়ে এসে প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনতে হবে।
🚨 দলেই বিদ্রোহ! রজু আহলুয়ালিয়াও করলেন সরব
শুধু জীতু সিং-ই নন, তৃণমূল ট্রান্সপোর্ট এবং হকার ইউনিয়নের নেতা রজু আহলুয়ালিয়া-ও নিজ দলের বোর্ডের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। প্রশ্ন উঠছে, এই বিদ্রোহের জোয়ার আগামী দিনে আরও নেতাদের সাহস জোগাবে কি?