📍 দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান:
দুর্গাপুরের ভগত পল্লীতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। শুধুমাত্র প্রতিবাদ করার “অপরাধে” ৪৬ বছরের এক ট্যাংকার চালকের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে খুন করার অভিযোগ উঠল এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম যীশু কুমার ওরফে রাজেশ। অভিযুক্ত পিন্টু বাউরী নিজেই পরে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে।
🕯️ ঘটনার বিবরণ: ২০ দিনের পরিশ্রমের পর ঘরে ফেরা, কিন্তু মৃত্যু অপেক্ষা করছিল
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। ২০ দিনের কাজ শেষে যীশু কুমার বাড়ি ফিরছিলেন। তিরিশ নম্বর ওয়ার্ডের করঙ্গপাড়া গ্রামের চার মাথা মোড় সংলগ্ন একটি গাছের নিচে মদ্যপ অবস্থায় বসে পিন্টু বাউরী গালিগালাজ করছিল। যীশুকে লক্ষ্য করেই চলছিল সেই ভাষাগত আক্রমণ। প্রতিবাদ করতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
⚠️ গালিগালাজ থেকে বচসা, তারপর খুন!
স্থানীয়দের দাবি, কথার লড়াই গড়ায় হাতাহাতিতে। হঠাৎ পিন্টু একটি লোহার রড দিয়ে যীশুর মাথায় সজোরে আঘাত করে। যীশু রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
👮 অভিযুক্ত নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ, পুলিশ চায় ৭ দিনের হেফাজত
খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খুনের পর পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযুক্ত পিন্টু বাউরী নিজেই থানায় হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় এবং ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়।
🧍 স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া: ‘গালিগালাজ তো রোজ শোনা যায়, খুন কেন?’
ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন —
“এতটা অমানবিকতা কেন? গালিগালাজে প্রতিবাদ করা কি অপরাধ? মাথায় রড মেরে খুন — এ কেমন সমাজ!”