বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জনমত সমীক্ষার নামে তথ্য সংগ্রহ করতে এসে ধরা পড়ল এক বেসরকারি সার্ভে সংস্থার ৫ সদস্যের দল। পুলিশের দাবি, এই দলের সদস্যরা ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে লোকজনের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বের সতর্কতায় এই চক্রান্তের পর্দাফাঁস হয়।
🧩 তৃণমূল নেতৃত্বের আগাম সতর্কবার্তা কাজে এল
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব একটি বিশেষ সার্কুলার জারি করে দলের কর্মীদের সচেতন থাকতে বলেন। নির্দেশে বলা হয়, কিছু লোক গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে সার্ভের নামে তথ্য জোগাড় করছে, যা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক বা সামাজিক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এই নির্দেশের পরেই বাঁকুড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ করা সার্ভে টিমকে দেখে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক টুটুন দাস পুলিশের কাছে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই মহিলা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
👮 গ্রেফতারদের একজন পূর্ব বর্ধমানের, বাকিরা বাঁকুড়ার বাসিন্দা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন পূর্ব বর্ধমান জেলার শক্তিগড় এলাকার বাসিন্দা, বাকি চারজন বাঁকুড়া জেলার। পুলিশ জানায়, ধৃতরা নিজেদের একটি বেসরকারি সমীক্ষা সংস্থার কর্মী বলে দাবি করেছে এবং তারা শহরের ওই ওয়ার্ডে ‘ডিউটি’ করছিল।
❓ প্রশ্ন উঠছে—ব্যক্তিগত সংস্থা, না রাজনৈতিক উদ্দেশ্য?
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা দাবি করেছে, তাদের বলা হয়নি তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিছক তথ্য সংগ্রহ নয়, এর পেছনে থাকতে পারে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা নির্বাচনী প্রভাব ফেলার কৌশল।
🧠 সতর্ক বার্তা: সাধারণ মানুষ যেন সচেতন থাকে
এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন। কেউ সার্ভে বা তথ্য চায়—তার পরিচয়, অনুমতিপত্র এবং সংস্থার বৈধতা যাচাই করতে বলা হচ্ছে।