আসানসোল, সোমবার: সাঁওতালি লিপি ‘ওল চিকি’-র প্রবর্তক পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু-র ১২০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্র ভবনের সামনে এক বৃহৎ ও ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটির নেতৃত্বে ছিল আসানসোল অল ইন্ডিয়া কোঅর্ডিনেশন আদিবাসী কমিটি।
এই অনুষ্ঠানে শতাধিক আদিবাসী মানুষ অংশগ্রহণ করেন এবং পণ্ডিত মুর্মুর অবদানকে সম্মান জানান।
🙏 সমাজের প্রকৃত সম্মান — ভাষা দিয়ে দিলেন পরিচয়
পণ্ডিত মুর্মু শুধুমাত্র একটি লিপিরই জন্ম দেননি, বরং তিনি সাঁওতালি সমাজকে ভাষাগত আত্মমর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রদান করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে, মানুষ মোমবাতি জ্বালিয়ে এবং ওল চিকি লিপির অক্ষর লিখে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান।
🗣️ আয়োজকদের বক্তব্য
গুরদাস কিস্কু, সভাপতি, অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট আদিবাসী ফোরাম (আসানসোল শাখা) বলেন:
“পণ্ডিত মুর্মু আমাদের সমাজকে ভাষা ও পরিচয় দিয়েছেন। ওল চিকি আমাদের গর্ব। আজকের দিনটি আমাদের ঐক্য ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।”
🎭 সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মন জয় করল যুব সমাজ
অনুষ্ঠানে ছিল নানা সাংস্কৃতিক আয়োজন ও তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণ:
- ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সংগীত
- ওল চিকি লিপি-ভিত্তিক প্রদর্শনী
- ছাত্রদের বক্তৃতা প্রতিযোগিতা
- মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে র্যালি
📝 প্রধান দিকগুলি:
- আদিবাসী সমাজের মধ্যে সাংস্কৃতিক সচেতনতার নবজাগরণ
- তরুণদের মধ্যে সাঁওতালি ভাষা ও লিপি নিয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি
- ওল চিকি লিপিকে স্কুল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি আরও জোরালো হলো
📌 উপসংহার:
এই অনুষ্ঠান শুধু একটি স্মরণ নয়, এটি এক সাংস্কৃতিক বিপ্লব — যা ভাষা, ইতিহাস ও পরিচয়কে সামনে এনে সাঁওতালি সমাজের নবজাগরণের দিশা দেখাচ্ছে। আগামী প্রজন্মের কাছে ওল চিকি পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ আরও প্রয়োজন।