📍 রানীগঞ্জ | দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র |
“বালির পাহাড় নয়, অন্যায়ের পাহাড় গুঁড়িয়ে দেব!” — এই মন্ত্রে রাতের অন্ধকারে সাহসী অভিযান চালিয়ে আলোচনায় এলেন দক্ষিণ আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। দীর্ঘদিন ধরে দামোদর নদীর তীরে চলতে থাকা অবৈধ বালি খনন ও পাচারের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিলেন তিনি।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জের তিরাট এলাকায় দামোদর নদীর পাড়ে একের পর এক অবৈধ বালি খনন ও পাচার—এই চক্রকে ধরতে এবার নিজেই ময়দানে নামলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল। তার তৎপরতায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। রাতের অন্ধকারে তিনি নিজে গিয়ে দাঁড় করালেন ১০ চাকা ও ১২ চাকার প্রায় ২০টি ট্রাক, বাজেয়াপ্ত করলেন তাদের চাবি এবং পুলিশ ফাঁড়িতে জমা দিলেন সমস্ত কিছু।
🛑 “পাচারকারীদের পিছনে প্রশাসনিক ছত্রছায়া ছাড়া এত বড় চক্র সম্ভব নয়” — অগ্নিমিত্রা পাল
তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, “রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুমতি-পত্র ও JCB মেশিন দিয়ে দিনের পর দিন চলছে অবৈধ বালি খনন। আর এইসব ট্রাকের চালান এক জায়গার নামে হলেও, বালি পাচার হয় অন্যত্র। এই দুর্নীতিতে প্রশাসনের কিছু অংশ জড়িত না থাকলে, এটা সম্ভব নয়।”
🏗️ দামোদর নদীর প্রাণ এখন মুঠোভরা বালিতে ধ্বংসের পথে!
বিধায়িকা আরও বলেন:
“বালি খননের ফলে নদীর গভীরতা কমে যাচ্ছে, বাঁধ ভেঙে প্লাবন হচ্ছে। রাস্তাগুলো অতিরিক্ত ওভারলোড ট্রাকে ভেঙে যাচ্ছে, আর প্রতিদিনই দুর্ঘটনার খবর আসছে। এটা শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের জীবন-জীবিকার প্রশ্ন!”
👥 স্থানীয়দের প্রশংসা, নারী নেতৃত্বে প্রথমবার এমন উদ্যোগ
এই উদ্যোগকে ঘিরে তিরাট গ্রামবাসীরা বলেন—
“এই প্রথম কোনও মহিলা বিধায়ক রাতের অন্ধকারে এত সাহসিকতার সঙ্গে মাঠে নামলেন। আগে আমরা শুধু প্রতিবাদ করেছি, কেউ শুনেনি। আজ আমরা আশার আলো দেখছি।”
🚨 পুলিশকে রিপোর্ট ও নির্দেশ, আইনি পদক্ষেপ শুরু
অগ্নিমিত্রা পাল নিজে গিয়ে নিমচা পুলিশ ফাঁড়িতে রিপোর্ট লিপিবদ্ধ করেন এবং সব ট্রাকের চাবি থানায় জমা দেন। ইতিমধ্যে থানার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।
🔥 এই পদক্ষেপ শুধু বার্তা নয়, ভবিষ্যতের ‘বালি সিন্ডিকেট’ রুখতেও প্রস্তুতি
এলাকায় এই পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা গেল—
“বালি পাচারকারীরা সাবধান, আর কোনও রেহাই নেই!”












