নেত্রী নন, জনসেবিকা! চৈতালি তিওয়ারি দেখালেন বাস্তব রাজনীতি কেমন হয়

আসানসোল: ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে চৈতালি তিওয়ারি গত তিন বছরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু শুধুমাত্র কাজ নয়, মানুষের আস্থা ও ভালবাসাই তাঁর শক্তি হয়ে উঠেছে— এমনটাই বলছেন এই প্রতিবাদী মনোভাবাপন্ন জনপ্রতিনিধি।

“আমি কোনো দফতরের দয়ায় নয়, মানুষের আস্থায় কাজ করি। কাজ করাই আমার ধর্ম।” — চৈতালি তিওয়ারি

তাঁর ওয়ার্ডে রয়েছে ৫টি আঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০টি মন্দির ও অসংখ্য পরিবার। প্রতিটি মানুষের সমস্যা সমাধানে তিনি যেমন সরব, তেমনি প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও উন্নয়নে একটুও পিছপা হননি।

743d5cb9 3dcd 40d1 b8e2 75f4089c6d9d

উন্নয়নমূলক কাজের সংক্ষিপ্ত তালিকা:

  • পিচ ও কংক্রিট রাস্তা নির্মাণ:
    • কোরাপাড়া থেকে আমবাগান: ₹২০ লক্ষ
    • সরকারি স্কুল থেকে মাগরাম ব্রিজ: ₹৫০ লক্ষ
    • কৈলাসনগরে কংক্রিট রাস্তা: ₹৪.৫০ লক্ষ
    • শিবলাল ডাঙ্গালে: ₹১.১৬ লক্ষ
    • মানিক মন্ডল দুর্গা মন্দির এলাকা: ₹২.৫০ লক্ষ
    • শুভম চৌরাশিয়ার বাড়ি থেকেশ্রী সিএন প্রসাদের বাড়ি পর্যন্ত : ₹১.৫০ লক্ষ
    • সুরজ টেইলার এলাকা: ₹১.৫০ লক্ষ
    • দ্বারিকা ডাঙ্গাল: ₹২.২৩ লক্ষ
  • ড্রেন ও পাইপলাইন:
    • রূপকথা এলাকায় রাস্তা ও নর্দমা: ₹১.৩৭ লক্ষ
    • সরকারি স্কুল ও ডঃ রাজেন্দ্র সেতু সংলগ্ন এলাকায় পাইপলাইন: ₹২.৭৬ ও ₹৩.৫০ লক্ষ
    • সিন্ধিপাড়া ও দক্ষিণ ধাধকা এলাকায় ড্রেন ও হাই ড্রেন নির্মাণ: ₹১ ও ₹২.২৩ লক্ষ
  • স্ট্রিট লাইট স্থাপন:
    • ১০টি এলাকার আলোকায়নের জন্য ₹৬০ লক্ষ ব্যয়

🧍‍♀️ সামাজিক সহায়তা:

  • ১৫৫ জন কন্যার বিবাহে ₹৫০০০ করে সহায়তা
  • ৫৯ জন অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য ₹২০০০ করে অনুদান
  • ৪৮ জন প্রয়াত ব্যক্তির শ্রাদ্ধে ₹৩০০০ করে সহায়তা
  • ৩৭ জন শিশুদের স্কুলে ভর্তি ও বই কেনার জন্য ₹৫০০ করে সহায়তা
  • শিশুদের পাঠাগারে ₹১০,০০০ মূল্যের বই প্রদান
  • ছট পূজায় ২০ কুইন্টাল গম ও ২৫০টি শাড়ি বিতরণ
  • ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষকদের সম্মানে শিক্ষক দিবস পালন

🚧 যে কাজগুলো এখনও অসম্পূর্ণ:

শ্রীমতী তিওয়ারি স্বীকার করেছেন— “সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনও ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলতে পারিনি, শিবলাল ডাঙ্গালের স্কুলের সামনে মদের দোকান বন্ধ করতে পারিনি। দফতরের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। তবু আমি থামিনি।”

🌉 ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

চৈতালি তিওয়ারি জানিয়েছেন, আগামী দু’বছরের মধ্যেই ওয়ার্ডের বাকি সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে একটি সম্পূর্ণ উন্নয়নমুখী পরিবেশ গড়ে তোলাই তাঁর লক্ষ্য।

“প্রশাসন সাহায্য করুক বা না করুক, আমি মানুষের জন্য আমার দায়িত্ব পালন করে যাব।”

ghanty

Leave a comment