আসানসোল: আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিবার্ষিক কার্যনির্বাহী নির্বাচনে ব্যাপক উৎসাহ ও উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। বার অ্যাসোসিয়েশনের অডিটোরিয়ামে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন পদে নির্বাচন হয়, যেখানে মোট ৫০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় শুরু হয় গণনা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফলাফল প্রকাশিত হয় এবং অয়ন রঞ্জন মুখার্জি সভাপতি পদে জয়ী হন। তিনি বিদায়ী সভাপতি রাজেশ তিওয়ারি বুন্টিকে ৬০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। অয়ন রঞ্জন মুখার্জি ৫৩০ ভোট পান, আর রাজেশ তিওয়ারি পান ৪৭০ ভোট।
কে কোন পদে নির্বাচিত হলেন?
🔹 সভাপতি: অয়ন রঞ্জন মুখার্জি (৫৩০ ভোট)
🔹 সহ-সভাপতি: অভিজিৎ কুমার রায় (বাপি), সোনতন ধারা
🔹 সচিব: বাণী কুমার মণ্ডল (নির্বাচিত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়)
🔹 সহকারী সচিব: ধীরেন কুমার চৌধুরী, সুপ্রিয়া হাজরা
🔹 কোষাধ্যক্ষ: কৃষ্ণেন্দু খান
🔹 নিরীক্ষক (Auditor): অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় (রাইমা)
🔹 কার্যনির্বাহী সদস্য: অভয় গিরি, অভিষেক মুখার্জি, অনিমেষ কুমার সিনহা, অনুপ মুখার্জি, অন্তরা মুখার্জি, বিনোদ কুমার চৌধুরী, প্রীতিবালা কর্মকার
সভাপতি প্রার্থীদের প্রতিক্রিয়া:
বিদায়ী সভাপতি রাজেশ তিওয়ারি বলেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে বার অ্যাসোসিয়েশনের সমস্ত সদস্য আমাকে সমর্থন করবেন এবং আমি হ্যাটট্রিক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাব। আমি আইনজীবীদের জন্য একটি কমিউনিটি হল নির্মাণ এবং একটি হোস্টেল স্থাপন করতে চাই।”
নবনির্বাচিত সভাপতি অয়ন রঞ্জন মুখার্জি বলেন, “আমি গত ১৭ বছর ধরে আইন পেশায় রয়েছি এবং সবসময় আইনজীবীদের কল্যাণের জন্য কাজ করেছি। আদালত চত্বরে মহিলা আইনজীবীদের জন্য পৃথক শৌচাগার, আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং আরও উন্নত সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি।”
বার অ্যাসোসিয়েশনে নির্বাচনী উচ্ছ্বাস:
নির্বাচন উপলক্ষে বার অ্যাসোসিয়েশন প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবের আমেজে। ভোটগণনা শেষে বিজয়ীদের সমর্থকদের মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। বিজয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
নতুন সভাপতির লক্ষ্য:
✅ মহিলা আইনজীবীদের জন্য পৃথক শৌচাগার নির্মাণ
✅ আইনজীবীদের জন্য হোস্টেল ব্যবস্থার উদ্যোগ
✅ বিচারালয়ে আইনজীবীদের জন্য হেল্পডেস্ক স্থাপন
✅ নতুন আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা
উপসংহার:
আসানসোল বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে অয়ন রঞ্জন মুখার্জির জয়কে পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। নতুন নেতৃত্ব কীভাবে আইনজীবীদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে, তা দেখার বিষয়।