আসানসোল: আসানসোলের জ্যোতিনগরে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করে নির্মাণ করা ভবন গুঁড়িয়ে দিল পৌরসভা। বারবার অভিযোগ উঠছিল যে, পুকুর ভরাট করে প্লট বিক্রি করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কঠোর পদক্ষেপ নেয় এবং আজ সকালে বুলডোজার চালিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলে। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
🏗️ কোটি টাকার জমিতে অবৈধ প্লটিং, এবার প্রশাসনের বড় পদক্ষেপ!

আসানসোল উত্তর থানার পলাশডিহ মৌজায় থাকা একটি পুকুর ভরাট করে জমি বিক্রি করা হচ্ছিল কোটি টাকায়। মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের তদন্তে উঠে আসে যে, এখানে আগে পুকুর ছিল, যা বেআইনিভাবে ভরাট করে প্লট বানানো হয়েছিল।
💥 বড় প্রশাসনিক পদক্ষেপ:
✔ অবৈধ নির্মাণে বুলডোজার চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল
✔ জমি বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের
✔ পুরো এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ

👮 ৩০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর! এখন কী হবে জমি ক্রেতাদের?
এই কাণ্ডে শ্যামল কৃষ্ণ রায়, তপস নন্দী সহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে জমি বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়েই রয়েছেন।

🔹 এফআইআরের তালিকাভুক্ত কিছু নাম:
1️⃣ সরিতা দেবী, জাহানারা নুসরাত, নূর ফাতিমা, মো. ইনুয়াল হক
2️⃣ রেশমা খাতুন, ফরহাদ আসলাম, মো. ফারমান আসলাম, মো. রেভরাজ
3️⃣ সায়রা বানু, নেহা পারভীন, মুর্তুজা খান, মোহাম্মদ সামসের
4️⃣ মোহাম্মদ নাদিম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আশরাফ, মোহাম্মদ শাকিল, মোহাম্মদ জাকির হুসেন
5️⃣ মোহাম্মদ পারভেজ আলম, গজালা ফাতিমা, সুফিয়া গজালা, মোহাম্মদ নূর আলম
6️⃣ দরখশা নাজ, মোহাম্মদ জাভেদ হাসান, ফারহা নাজ, সরফরাজ আখতার
7️⃣ আবিদা নাসরাত, আহমেদ আশরাফি এবং আরও অনেকে
🚨 এবার জমি ক্রেতাদের ভবিষ্যৎ কী? আইনি ফাঁসে পড়তে চলেছে তারা!
এখন প্রশ্ন উঠছে, যারা এই অবৈধ জমি কিনেছে, তারা কি আইনি ঝামেলায় পড়বে? পুলিশ ইতিমধ্যেই জমি ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করেছে। তবে এবার জমি ক্রেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।