আসানসোল, ৯ মার্চ ২০২৫: পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আবারও নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে! তৃণমূল নেতা অশোক রুদ্র অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চা মণ্ডল-২ এর সভাপতি নাজনি সবিহার নাম আসানসোল পৌরসভার দুটি পৃথক ওয়ার্ড—৭৭ (মায়ের বাড়ি) এবং ৭৮ (শ্বশুরবাড়ি)-এর ভোটার তালিকায় রয়েছে। তৃণমূল এই ঘটনাকে “বিজেপির ভোট কারচুপির চক্রান্ত” বলে অভিহিত করেছে।
🔍 তৃণমূলের দাবি: এক ব্যক্তির দুই ভোটার কার্ড, গণতন্ত্রের বিপদ?

অশোক রুদ্রের দাবি, শুধুমাত্র নাজনি সবিহাই নন, আরও অনেক বিজেপি নেতা ও সমর্থকদের নাম ভোটার তালিকায় একাধিকবার রয়েছে, যা তদন্তের পর প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি বলেন,
🗣️ “এটা শুধু আসানসোলে সীমাবদ্ধ নয়, রাজ্যের বহু জায়গায় বিজেপি ভোট কারচুপির জন্য এই কৌশল নিচ্ছে।”
তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং এই ঘটনাকে “গণতন্ত্রের উপর চক্রান্ত” বলে বর্ণনা করেছেন।

🛑 বিজেপির জবাব: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র!
এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন নাজনি সবিহা, যিনি একে “তৃণমূলের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
🗣️ “আমার মায়ের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির ঠিকানা আলাদা ওয়ার্ডে পড়ে, এবং আমি আগেই ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নাম কাটানোর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনিক কারণে তা কার্যকর হয়নি। এখন আমি আবার আবেদন করব। এতে রাজনীতি করার কিছু নেই।” – নাজনি সবিহা

তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে বলেছেন যে “যারা আমায় দোষ দিচ্ছে, তাদের নিজেদের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ আছে।”
🗳️ নির্বাচন কমিশনের বড় পরীক্ষা!

এই বিতর্ক পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা এবং ভুয়া ভোটের অভিযোগ নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়, এবং আদৌ তালিকায় কারচুপি হয়েছে কিনা, নাকি এটা শুধুই রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি?