আসানসোল: রেল হাসপাতালে চিকিৎসায় চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ব্রেন স্ট্রোক আক্রান্ত এক রোগী ইনজেকশন দেওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মারা যান। এই ঘটনায় পরিবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে।
⚠️ “বাবার অবস্থা ভাল হচ্ছিল, কিন্তু ইনজেকশন দেওয়ার পরই সব শেষ হয়ে গেল”

মৃতের ছেলে মোহাম্মদ সরফরাজ আনসারি জানান, তাঁর বাবার অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। সিটি স্ক্যানের জন্য তাঁকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু হাসপাতালে ফেরার পর এক যুবক ইনজেকশন দেন এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মৃত্যু ঘটে।
পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ওই যুবকের পরিচয় ও ইনজেকশনের ধরন সম্পর্কে জানতে চান, কিন্তু কর্মচারীর ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতাল বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

🔴 ‘ইনজেকশনের শিশিতে “মোনোসেফ” লেখা ছিল না!’
তিন ঘণ্টা পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই যুবককে হাজির করে, যিনি জানান যে মৃত ব্যক্তিকে “মোনোসেফ” নামের অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের দাবি, তাঁদের কাছে থাকা ইনজেকশনের শিশিতে “মোনোসেফ” লেখা ছিল না।
🔥 “যদি নার্সরা উপস্থিত থাকেন, তবে অন্য কাউকে ইনজেকশন দিতে দেওয়া হলো কেন?”

সরফরাজ আনসারি একে চরম গাফিলতি বলে উল্লেখ করেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানান। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, যখন তিনজন নার্স সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তখন অন্য কাউকে ইনজেকশন দিতে দেওয়া হলো কেন?
🚨 হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নীরব! পরিবারের ন্যায়বিচারের দাবি অব্যাহত
এখনও পর্যন্ত হাসপাতাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, তবে তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনা আবারও রেল হাসপাতালের গাফিলতির চিত্র সামনে নিয়ে এসেছে।











