উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছি এলাকার বাজিতপুরে মাঠের মধ্যে উদ্ধার হওয়া মুণ্ডুহীন দেহের রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বড় সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। ঘটনার মূল সন্দেহভাজন জলিলকে জাম্মু-কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর গতকাল তাকে দত্তপুকুর থানায় আনা হয় এবং আজ বারাসত জেলা আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
🔴 আগে ধরা পড়েছিল ওবায়দুল ও পূজা দাস!

এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ওবায়দুল এবং পূজা দাসকে। তাদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত শেষ হওয়ার পর আজ বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, জলিলের গ্রেফতারের পর এই খুনের নেপথ্যে থাকা মূল ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজ মিলতে পারে।
🔴 জলিল কি জানে কাটা মাথার সন্ধান?
পুলিশের অনুমান, স্থানীয় হওয়ায় জলিল হত্যার চক্রান্তের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এমনকি, মৃতদেহের কাটা মাথাটি কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে, সেই তথ্যও তার জানা থাকতে পারে। তাই জলিলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া গেলে তদন্ত আরও ত্বরান্বিত হবে এবং মৃতদেহের মাথাটির খোঁজ শুরু হবে।

🔴 হত্যার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র! আরও ধরা পড়তে পারে অপরাধী!
তদন্তকারীরা মনে করছেন, শুধু এই তিনজন নয়, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও চক্রান্তকারী থাকতে পারে। জলিলের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসবে এই হত্যার আসল উদ্দেশ্য। এটি কি শুধুই ব্যক্তিগত শত্রুতার ফল, নাকি বড় কোনো অপরাধ চক্র এর পেছনে কাজ করছে? পুলিশ এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে।
🔴 পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
পুলিশ এখন জলিলকে হেফাজতে নিয়ে কাটা মাথার সন্ধান চালাবে। পাশাপাশি, হত্যাকাণ্ডের পুরো চক্রকে ধরতে আরও অভিযানে নামতে পারে তদন্তকারী দল। জলিলের জবানবন্দি থেকে উঠে আসতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।