কুলটি, পশ্চিমবঙ্গ: আসানসোল পৌরনিগমের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিয়ামতপুর মুচিপাড়া এলাকার একটি রেশন দোকানকে ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই শনিবার একটি সিসিটিভি ভিডিও ভাইরাল হয়। এই ভিডিওতে তৃণমূল কাউন্সিলর জাকির হুসেনের ভাই সগীর হুসেন এবং তাঁর সমর্থকদের রেশন ডিলার রোহিত বলোটিয়ার সাথে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করতে দেখা যায়।
তৃণমূল কাউন্সিলরের পাল্টা দাবি:

ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূল কাউন্সিলর জাকির হুসেন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে রেশন ডিলার মিথ্যা বলছেন। তিনি দাবি করেন, যদি কোনো ধাক্কাধাক্কি বা মারধর হয়ে থাকে, তাহলে তা উপভোক্তাদের দ্বারা হয়েছে, যারা রেশন ডিলারের আচরণ ও রেশনের দুর্নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁর ভাই সগীর হুসেনও জানিয়েছেন যে তিনি কোনো খারাপ ব্যবহার করেননি।
কী বলছেন সগীর হুসেন?

সগীরের বক্তব্য অনুযায়ী, মহম্মদ ইউনুস নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন যে তাঁকে ৫০ কেজি খাদ্যশস্যের রসিদ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি মাত্র ৩০ কেজি রেশন পেয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেই তিনি রেশন দোকানে গিয়েছিলেন, তখনই কিছু গ্রাহক রেশন ডিলারের সাথে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করেন। সগীরের অভিযোগ, এখন রেশন ডিলার এটাকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে তুলে ধরছেন এবং তাঁর কাউন্সিলর ভাইকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে।
এবার ভাইরাল অডিও নিয়ে চাঞ্চল্য!

একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তি রেশন ডিলারের কাছ থেকে “খরচা” দাবি করছেন। অডিওতে রেশন ডিলারকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে তিনি ইতিমধ্যেই “বাদল” নামে এক ব্যক্তিকে টাকা দিয়েছেন এবং এখন তাঁর আয় নেই, তাই আরও টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। উত্তরে অন্য পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে তিন মাস ধরে টাকা দেওয়া হয়েছে, তাহলে বন্ধ কেন করা হলো? খরচা চালিয়ে যেতে হবে বলে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
কে এই বাদল-অনীশ?

ভাইরাল অডিওতে যিনি “খরচা” দাবি করছেন, তাঁর কণ্ঠস্বর একজন তৃণমূল নেতার বলে দাবি করা হচ্ছে। “অনীশ” নামে এক ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যিনি কাউন্সিলরের অফিসে বসেন। আবার “বাদল” নামক ব্যক্তির সঙ্গেও ওই নেতার যোগসূত্র থাকার কথা শোনা যাচ্ছে।
প্রশাসন কী বলছে?
এখনও পর্যন্ত এই অডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি, তবে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে। এর মধ্যেই রেশন ডিলাররা তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ তুলেছেন, যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।