ঝাড়খণ্ডের কাঁকরাঝোড়ের জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ শেষ পর্যন্ত পুরুলিয়ার বান্দোয়ান রেঞ্জের রাইকা পাহাড়ে পৌঁছেছে। পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগের প্রধান সংরক্ষক এস. কুলানদাইভেল জানিয়েছেন যে বাঘটিকে ধরতে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
🔹 বাঘের গতিবিধি নজরদারিতে বন বিভাগ
বন দপ্তর কাঁকরাঝোড় থেকে পুরুলিয়ার সংলগ্ন এলাকায় নাইলন বেড়া সরিয়ে দিচ্ছে। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে মনে করা হচ্ছে এটি এখন রাইকা পাহাড় অঞ্চলে ঘোরাফেরা করছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের একটি বিশেষ দল ও ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়ার বনরক্ষীরা বাঘটির গতিবিধি মনিটর করছে।
🔹 ৪০টি ক্যামেরা ও ট্র্যাপ-ডোর খাঁচা বসানো হয়েছে
বাঘটির গতিবিধি ধরতে ৪০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঘটির শরীরে কোনো রেডিও কলার নেই, যা তার সঠিক অবস্থান জানাতে সাহায্য করত।
🔹 ঝাড়খণ্ড থেকেই এসেছে বাঘটি?
বাঘটি পালামু বনাঞ্চল থেকে এসেছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে বন দপ্তর জানিয়েছে, “এটি একটি বন্য প্রাণী, যা ঝাড়খণ্ডের কোনও বনাঞ্চল থেকে এসেছে, তবে এটি কোনও সংরক্ষণ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত নয়।”
🔹 গ্রামবাসীদের সতর্কতা: রাতে বাইরে না বেরোনোর নির্দেশ
পুরুলিয়ার বেলপাহাড়ি-বান্দোয়ান অঞ্চলের ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বসবাসকারী মানুষদের রাতে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, স্থানীয়দের বলা হয়েছে, কেউ বাঘটিকে দেখতে পেলে যেন তাকে কোনোভাবে আঘাত না করে।
🔹 এর আগেও এসেছিল ‘জিনাত’ নামের একটি বাঘ
গত মাসে ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল ‘জিনাত’ নামের আরেকটি বাঘ, যাকে তিনটি রাজ্যের বন দপ্তরের কর্মীরা অনেক চেষ্টার পর ধরে ফেলেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান বাঘটিও জিনাতের পথ অনুসরণ করেই পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে এবং এটি সম্ভবত প্রজনন মৌসুমের কারণে সেই গন্ধ অনুসরণ করছে।
বন দপ্তরের টিম সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে, বাঘের সুরক্ষার পাশাপাশি গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।