বারাসত: অবৈধভাবে ভারতে বসবাসরত দুই বাংলাদেশি নাগরিককে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে বছরের পর বছর ভারতে বসবাস করছিলেন। রবিবার বারাসত আদালতে হাজির করা হলে তাদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়।
ধৃতদের পরিচয় ও জাল পরিচয়পত্র তৈরির কৌশল
🔸 গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নুরুল হক ও রফিকুল ইসলাম, উভয়ই বাংলাদেশের বাসিন্দা।
🔸 নুরুল হক নিজের নাম পাল্টে ‘নারায়ণ অধিকারী’ নামে পরিচয় দিচ্ছিলেন।
🔸 রফিকুল ইসলাম মাদারীহাট (বাংলাদেশ) থেকে ভারতে প্রবেশ করে নকল আধার ও প্যান কার্ড তৈরি করে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন।
কীভাবে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা?
📢 জেলা পুলিশের গোপন সূত্রে জানা যায়, ‘নারায়ণ অধিকারী’ নামে এক ব্যক্তি সন্দেহজনকভাবে দত্তপুকুরে বসবাস করছেন।
🏠 জানা যায়, তিনি রফিকুল ইসলামের ভাড়া দেওয়া বাড়িতে থাকছিলেন, রফিকুলও বাংলাদেশি নাগরিক।
🐟 হক উত্তর ২৪ পরগনায় মাছের ব্যবসা করতেন, আর ইসলাম ছিলেন ‘প্রাইভেট ডাক্তার’।
🕵️♂️ সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে পুলিশ তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল।
পুলিশের অভিযান ও তদন্ত
🔴 সন্দেহ নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ রবিবার রাতে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকেই গ্রেপ্তার করে।
🔴 প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হক গত চার বছর ধরে ইসলাম-এর বাড়িতে লুকিয়ে বসবাস করছিলেন।
🔴 তদন্ত চলছে, তারা কীভাবে ভুয়া পরিচয়পত্র বানিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্বের সুবিধা নিচ্ছিলেন।
সীমান্তে নিরাপত্তা ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বৃদ্ধির পরিসংখ্যান
🔸 ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের সংখ্যা বেড়েছে।
🔸 পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৫০% এখনও অরক্ষিত, যার ফলে অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।
🔸 ২০২৪ সালে বিএসএফ দক্ষিণ সীমান্ত এলাকায় ২,৪০০-র বেশি অনুপ্রবেশকারী আটক করেছে।
🔸 বাংলাদেশের নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও পুলিশের বার্তা
🛑 পুলিশ জানিয়েছে, দত্তপুকুর ও সংলগ্ন এলাকায় আরও কতজন বাংলাদেশি জাল পরিচয় নিয়ে বসবাস করছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে।
🛑 সন্দেহভাজন অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
🛑 পুলিশ ও বিএসএফ সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়িয়েছে।












