কুলটি (বরাকর, পশ্চিমবঙ্গ): সোমবার সকালে কুলটি থানার অন্তর্গত বরাকরের বালতোরিয়া এলাকায় রেলের জমি খালি করতে আসা রেল আধিকারিক ও RPF-এর দলকে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। বুলডোজার নিয়ে পৌঁছানো কর্মকর্তাদের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দারা ঘিরে ধরে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে রেল আধিকারিকদের কোনো পদক্ষেপ না নিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হতে হয়!
“বাংলায় বুলডোজার চলবে না!” – তৃণমূলের হুঁশিয়ারি
আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র কাউন্সিলের সদস্য ইন্দ্রাণী মিশ্র নিজেই ধর্নায় বসে বুলডোজার থামিয়ে দেন। তিনি কড়া ভাষায় বলেন—
📌 “এটা উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাট নয়, এটা বাংলা! এখানে বুলডোজার চলবে না!”
📌 “যতক্ষণ পর্যন্ত এই পরিবারগুলোর পুনর্বাসন করা না হবে, ততক্ষণ উচ্ছেদ চলবে না!”
ইন্দ্রাণী মিশ্রের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মী প্রতিবাদে সামিল হন।
বিজেপি বিধায়ক এলেন, উঠল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান!
যখন কুলটি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক ডঃ অজয় পোদ্দার ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁকে দেখে তৃণমূল কর্মীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। তবে, বিধায়কও পাল্টা আক্রমণ করে বলেন—
🔹 “আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখব এই পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের জন্য!”
🔹 “তৃণমূল কংগ্রেস শুধুই রাজনীতি করছে, কিন্তু গরিবদের কেউই চিন্তা করছে না!”
বুলডোজার নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন, এলাকা জুড়ে উত্তেজনা!
রেল আধিকারিক ও RPF বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও, তীব্র বিরোধিতার কারণে তারা কোনো জমি খালি করতে পারেননি এবং অভিযান বন্ধ রেখে ফিরে যান। এই ঘটনার জেরে বরাকরের বালতোরিয়া এলাকা এখন উত্তপ্ত।
এবার কী হতে চলেছে?
তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে, “পুনর্বাসন না দিয়ে কাউকে উচ্ছেদ করতে দেওয়া হবে না!” অন্যদিকে, রেল কতৃপক্ষ ও RPF এখন কী পদক্ষেপ নেবে, সেটাই দেখার বিষয়।