কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় আয়োজিত “সিনার্জি ও বিজনেস ফ্যাসিলিটেশন কনক্লেভ”-এ অংশ নেওয়া উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে প্রায় ২,৫০০ কোটির বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে। আগামী বছরগুলিতে এই বিনিয়োগের পরিমাণ ৬,০০০ কোটি ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা প্রায় ৭০,০০০ (পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ) কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
মঙ্গলবার মহেশতলায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ৪৫০-র বেশি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ক্ষুদ্র উদ্যোগ (MSME) ও বস্ত্র দপ্তর এই ধরণের উদ্যোগ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত আয়োজন করে।
উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলির তালিকা:
- খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ উদ্যোগ কেন্দ্র (বাগবাজার):
এখানে যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৭.১৩ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এই প্রকল্প থেকে ৫৫ জন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা পাবেন। - কুমারটুলি মৃৎশিল্প উদ্যোগ কেন্দ্র:
যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২১ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। ৪০০-র বেশি শিল্পী সরাসরি ও পরোক্ষ উপকৃত হবেন। - স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির ক্লাস্টার:
ক্যানিং-I, কুলপি এবং বজবজ-II ব্লকে সেলাই মেশিন ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এতে ১০৪০ জন মহিলা উপকৃত হবেন। - জনবাজার লেদার ক্লাস্টার:
এখানে ৭.৪৪ কোটি টাকার প্রকল্পে একটি সাধারণ সুবিধা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, ৫০০-৬০০ জন চামড়ার কারিগর উপকৃত হবেন। - বারুইপুর গ্রিন আতশবাজি ক্লাস্টার:
এখানে ৪১টি স্টল সহ একটি বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এতে প্রায় ২,৫০০ আতশবাজি প্রস্তুতকারক উপকৃত হবেন। - জয়নগর মোয়া ক্লাস্টার:
১.৭২ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ রাজ্য অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। এর সুবিধা পাবে ৫০০ জন মোয়া প্রস্তুতকারক। - নুঙ্গি গার্মেন্ট হাট:
১.৫ একর জমিতে ৬০০ স্টল নিয়ে নির্মিত হচ্ছে এই হাট। এতে ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। - পোশাক হাব (PPP মডেলে):
এই হাব বিশাল বিনিয়োগ আনবে এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।
MSME-এর সচিবের বক্তব্য:
MSME ও বস্ত্র দপ্তরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে জানান, “ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড স্কিম, বাংলাশ্রী স্কিম, মডিফাইড টেক্সটাইল ইনসেনটিভ স্কিম এবং সাইপ স্কিমের মতো অর্থনৈতিক সহায়তার সুবিধাগুলি নিয়ে উদ্যোক্তাদের সচেতন করা হয়েছে।”