দুর্গাপুর: ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর কাঁকসার মলানদিঘীর সরস্বতীগঞ্জের জঙ্গলে গুলিতে নিহত বিজেপি বুথ সভাপতি সন্দীপ ঘোষের স্মৃতিতে সোমবার পূর্ণবয়ব মূর্তি উন্মোচন করল বিজেপি নেতৃত্ব। ছয় বছর পরেও অপরাধীরা অধরা থাকায় বিজেপি এই মূর্তি উন্মোচনের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যত হুংকার ছেড়েছে।
বাবা বিজয় ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ তা, সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত সহ দলের অন্যান্য নেতারা সন্দীপ ঘোষের মূর্তিতে মাল্যদান করেন।
“অবৈধ কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই মৃত্যুর কারণ”
বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় দোষীদের সতর্ক করে বলেন,
“অবৈধ কারবারিদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তাই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিদবিহার, জাঠগড়িয়া, মলানদিঘী, গোপালপুরে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের ২০২৬-এর মধ্যেই জেলে যেতে হবে।”
তিনি আরও জানান, “আমরা কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছি। তদন্ত হবেই এবং দোষীরা শাস্তি পাবেই।”
জেলা সভাপতির বক্তব্য
বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন,
“আমাদের আইন ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। সন্দীপ ঘোষের হত্যাকারীরা যতই অধরা থাকুক, আমরা তাদের শাস্তি নিশ্চিত করব।”
ঘটনার প্রেক্ষাপট
২০১৮ সালে সন্দীপ ঘোষকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যা তৎকালীন সময়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সন্দীপ ঘোষ অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কারণেই তাঁর প্রাণহানি ঘটে।
সন্দীপ ঘোষের পরিবারের তরফেও দ্রুত বিচার এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে।
- বিজেপি নেতাদের মতে, মূর্তি বসানোর মাধ্যমে সন্দীপ ঘোষের আদর্শকে জীবিত রাখা এবং দোষীদের মুখোশ খুলে দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
- এলাকার মানুষও এই ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই-এর হস্তক্ষেপ চায়।
- আগামী দিনে বিজেপি নেতৃত্ব দোষীদের গ্রেপ্তারির দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।