“হাই হ্যালো নয়, বলুন ‘হরেকৃষ্ণ’” – এই শব্দে পরিচিত চার বছরের শিশু ভাগবত দাস ব্রহ্মচারী এখন লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। তাঁর অসাধারণ প্রতিভা এবং জ্ঞানের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। এখন এই ছোট্ট বালককে সম্মান জানাতে আসানসোলের বিখ্যাত মোম শিল্পী সুশান্ত রায় তাঁর মোমের মূর্তি তৈরি করেছেন, যা এখন আসানসোল মোম জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে।
গীতার শ্লোক মুখস্থ এবং সহজ ব্যাখ্যা:
ভাগবত দাস ব্রহ্মচারীর প্রতিভার বিশেষত্ব হল, তিনি অল্প বয়সেই ভগবদ্গীতার শ্লোক মুখস্থ করেছেন এবং সেগুলির সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারেন। তাঁর এই অসাধারণ গুণ তাঁকে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার প্রতীক করে তুলেছে।
আসানসোল মোম জাদুঘরে নতুন আকর্ষণ:
ভাগবত দাস ব্রহ্মচারীর মূর্তি মোম জাদুঘরে প্রদর্শনের পর, জাদুঘরটি মানুষের জন্য বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসছেন এই মূর্তিটি দেখতে। এই মূর্তিটি কেবল ভাগবত দাসের প্রতিভার প্রতীক নয়, বরং সমাজে জ্ঞান এবং সংস্কৃতি প্রচারের বার্তাও বহন করে।
ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মের প্রতি শিশুদের অনুপ্রেরণা:
ভাগবত দাস ব্রহ্মচারীর মতো শিশুরা প্রমাণ করে যে ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতিতে অনুপ্রাণিত তরুণ প্রজন্ম সমাজে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। তাঁর মূর্তিটি কেবল একটি প্রতীক নয়, এটি শিশুদের মধ্যে সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করার বার্তা দেয়।
বাড়তি আকর্ষণ:
মোম জাদুঘরের অন্যান্য জনপ্রিয় মূর্তির পাশাপাশি, ভাগবত দাসের মূর্তি এখন সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। জানা গেছে, আগামী দিনে জাদুঘরে তাঁর জীবনের উপর একটি বিশেষ প্রদর্শনীও চালু করা হতে পারে, যেখানে তাঁর জীবন, তাঁর শিক্ষা এবং তাঁর বার্তা তুলে ধরা হবে।