আসানসোল : শিল্পাঞ্চলে বেআইনি জমি ব্যবসা নিয়ে আবারও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পাওয়া যাচ্ছে যে জমি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক বড় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তারা এটিকে “হাই-লেভেল” মামলা বলেই উল্লেখ করছে, কিন্তু কোনো শীর্ষ আধিকারিক এ বিষয়ে খোলাখুলি কিছু বলছেন না।
কে এই ‘শর্মাজি’?
দুর্গাপুর থেকে আসানসোল পর্যন্ত হাইওয়ের পাশে জমি ব্যবসার বিতর্কিত বিষয়ে শর্মাজি বা ‘সিএস’ নামটি বারবার উঠে এসেছে। মনে করা হচ্ছে, শর্মাজিকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, উইলসন এবং দিনেশের পরে এবার কি শর্মাজি ফেঁসেছেন? আর যদি তাই হয়, তবে পরবর্তী নাম কার?
২২ জনের তালিকা প্রস্তুত!
সূত্রের খবর, পুলিশ বেআইনি জমি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ২২ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। কেউ কেউ বলছেন যে এই তালিকা বিধানসভাভিত্তিক তৈরি করা হয়েছে। শীঘ্রই আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
চার বছর আগের পলাশডিহা বিতর্ক ফের চর্চায়
চার বছর আগে আসানসোলের নর্থ বিধানসভা এলাকার পলাশডিহায় প্রায় ৩২ বিঘা সরকারি জমি নিয়ে বড় বিতর্ক হয়। অভিযোগ, ভুয়ো নথি এবং কিছু সরকারি কর্মীর সহায়তায় জমি মাফিয়ারা এই জমি দখল করেছিল।
এই জমির মধ্যে কিছু অংশ ইসিএল (ECL)-এর, কিছু আসানসোল-দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির এবং কিছু রাজ্য সরকারের ভেস্টেড জমি। এমনকি কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিও ছিল, যেগুলো ভুয়ো নথি বানিয়ে এবং কিছু সরকারি আধিকারিকদের সাহায্যে মাফিয়ারা নিজের বা তাদের আত্মীয়-পরিচিতদের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নিয়েছিল।
উইলসন ও দিনেশের ঘটনা মনে করাল
এর আগে পুকুর ভরাটের মামলায় জমি ব্যবসায়ী উইলসন ও দিনেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়েছিল, কিন্তু যথেষ্ট প্রমাণ জোগাড় করতে না পারায়, রিমান্ড শেষ হলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে।
বাড়ছে স্থানীয়দের উদ্বেগ ও প্রশ্ন
স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করছেন, বেআইনি জমি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এত বড় চক্র চলতে থাকলে প্রশাসন কীভাবে এই বিষয়গুলোর খবর রাখে না?
ভবিষ্যতের পদক্ষেপ:
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এইবার তদন্ত আরও গভীর পর্যায়ে চলছে। অনেক নাম উঠে আসছে, এবং আসন্ন সময়ে আরও বড় পদক্ষেপের সম্ভাবনা রয়েছে।