আসানসোল, ৪ ডিসেম্বর: আসন্ন ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বড়সড় ঘোষণা করেছে। জেলার নয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য পর্যবেক্ষকদের নাম প্রকাশ করেছেন জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এই পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত করবেন যে প্রতিটি এলাকায় ভোটার তালিকার সংশোধন কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয় এবং সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার প্রয়োগে কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন।
বিধানসভাভিত্তিক পর্যবেক্ষকদের তালিকা:
- পান্ডবেশ্বর: নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মাহফুজুল হাসান
- দুর্গাপুর পূর্ব: প্রদীপ মজুমদার, প্রভাত চ্যাটার্জি
- দুর্গাপুর পশ্চিম: অনিন্দিতা মুখার্জি, বিশ্বনাথ পাড়িয়াল, পঙ্কজ রায় সরকার
- রানিগঞ্জ: তাপস ব্যানার্জি, অভিনবা মুখার্জি
- জামুড়িয়া: হরিরাম সিংহ, বিশ্বনাথ বাউড়ি
- আসানসোল দক্ষিণ: অভিজিৎ ঘটক, নুরুল হক
- আসানসোল উত্তর: মালয় ঘটক, অধীর গুপ্ত
- কুলটি: উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, ভি. শিব দাসন দাসু, মৃণাল ব্যানার্জি
- বারাবনি: বিধান উপাধ্যায়, পার্থ দেবাসি, দেবারতি সিনহা
তৃণমূলের লক্ষ্য:
জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ভোটার তালিকার সংশোধন স্বচ্ছ এবং সময়মতো করা হবে। তিনি বলেন, “এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি যোগ্য ভোটারকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং যেকোনো ধরনের ভুল সংশোধন করা।”
রাজনৈতিক কৌশল না সচেতনতা অভিযান?
বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যবেক্ষকদের নিয়োগের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটারদের মধ্যে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে। এই পদক্ষেপটি আসন্ন নির্বাচনে দলের মাটির সমর্থন আরও দৃঢ় করতে নেওয়া হয়েছে।
বিজেপির প্রতিক্রিয়া:
বিজেপি জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায় এই ঘোষণার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনের আগে সর্বদা লোক দেখানো রাজনীতি করে। এই সংশোধন প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে হওয়া উচিত।”
স্থানীয় মানুষের প্রত্যাশা:
স্থানীয় বাসিন্দারা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, যদি সংশোধন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে করা হয়, তবে সমস্ত যোগ্য ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।