দুর্গাপুরে শনিবার সকালে এক অভিনব রূপে ধরা দিলেন বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সকালে চিত্রালয় ময়দানে হাঁটতে বেরিয়ে হালকা ব্যায়াম করে তিনি আরএসএস প্রতিনিধিদের সঙ্গে সময় কাটান। এরপর দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের কাছ থেকে বাইকের চাবি নিয়ে একটি বুলেট চালিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান। সকালে হাঁটতে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে বিজেপির সদস্যপদ নিতে মিসড কলের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করেন।
দিলীপ ঘোষ পরে বিজনের ডেভিড মোরে ‘চা চক্র’-এ অংশ নেন। সেখানে বসেই তিনি তৃণমূলকে একের পর এক আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “আয়লা থেকে আবাস যোজনার টাকা— সব তৃণমূল নেতাদের পকেটে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিভির স্ক্রিনে থাকার জন্য অভিনয় করছেন।”
ডিয়ার লটারির টাকাও তৃণমূল নেতাদের পকেটে: দিলীপ ঘোষের দাবি
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “ডিয়ার লটারির টাকাও তৃণমূল নেতাদের পকেটে গেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে এর তদন্ত হওয়া উচিত। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। এর ফলে দুষ্কৃতীরা তাদের নিশানা বানাচ্ছে। এমনকি তৃণমূল নেতাদের পরিবারেরাও পুলিশের তদন্তে আস্থা হারিয়েছে। তারাও এখন কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি করছে।”
তিনি বলেন, “তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আজ নিজেই তাদের নিশানায় পড়েছেন। বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী হিন্দুদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চলছে। আইএসকন-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ হচ্ছে। এর খারাপ প্রভাব বাংলায় পড়েছে। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে ব্যস্ত।”
‘হেলমেট ছাড়া দুর্গাপুরে ঘোরার বিষয়ে’: দিলীপের কটাক্ষ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাইক চালকদের হেলমেট পরার বার্তার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “বাংলার মানুষই সুরক্ষিত নয়, আর তিনি বাইক চালকদের সেফটি নিয়ে চিন্তা করছেন!” চা শেষ করে হাসিমুখে তিনি বহরমপুরের একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে রওনা দেন।