[metaslider id="6053"]

শিল্পাঞ্চলে ভুয়ো লটারি ব্যবসা, ধৃত ২; ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগ!

শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় চলছে অবৈধ ভুয়ো লটারি ব্যবসা, যেখানে নামী কোম্পানির লটারির নাম ব্যবহার করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভুয়ো লটারি। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিডি বিভাগ সক্রিয় হতেই রবিবার ধরা পড়ল দুই ভুয়ো লটারি বিক্রেতা।

ধৃতদের মধ্যে একজন হলেন বীরভূম জেলার খৈরাশোল থানার অন্তর্গত আমজোলা গ্রামের বাসিন্দা হরিদাস গোপ ওরফে লালন এবং অন্যজন দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানার অন্তর্গত সুবোধ রুইদাস। উভয়কেই দুর্গাপুর হাইকোর্টে পেশ করা হলে, আদালত তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় ভুয়ো লটারি বিক্রির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করা হচ্ছে। এ ধরনের লটারির ফাঁদে পড়ে বহু মানুষ তাদের সঞ্চয় হারাচ্ছেন। পুলিশ সোমবার থেকে অবৈধ লটারির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশ আন্দল, পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় হানা দেয়।

অভিযানের সময় বিভিন্ন লটারি দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। তবে পুলিশের মতে, অভিযানের খবর আগে থেকে ছড়িয়ে পড়ায় কোনও ভুয়ো লটারি টিকিট উদ্ধার করা যায়নি। যদিও বনবহাল ফাঁড়ির আইসি অভিজিৎ সিংহ রায় জানিয়েছেন যে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পুলিশি সূত্রের দাবি, এই ভুয়ো লটারির কারবার ঝাড়খণ্ড থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তাই এই লটারি ‘ঝাড়খণ্ড লটারি’ নামে পরিচিত। সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে এই লটারি টিকিট শিল্পাঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে। দোকানদারদের মধ্যে অনেকেই বৈধ লটারির আড়ালে এই অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছে। পাশাপাশি, কিছু খুচরো লটারি বিক্রেতা বাইসাইকেল নিয়ে এলাকায় ঘুরে এই টিকিট বিক্রি করছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বনবহাল ছাড়াও উখরা এবং খাণ্ডরা এলাকায়ও ভুয়ো লটারি টিকিট বিক্রির কারবার বেড়েছে। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে সেই এলাকাগুলিতেও অভিযান চালানো হোক।

ghanty

Leave a comment