নিজস্ব সংবাদদাতা : আসানসোলের কুলটি অঞ্চলে ভুয়া লাইসেন্সে বন্দুক ব্যবহার করে প্রাইভেট গার্ডের কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় প্রথম সাফল্য আসে দুর্গাপুরের কোকোভেন থানার হাতে, কিন্তু ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে সামনে আসে আরও চমকপ্রদ তথ্য। এর পর কুলটি থানার পুলিশ বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং পাঁচটি বন্দুকসহ প্রচুর কার্তুজ উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ভুয়া লাইসেন্সের মাধ্যমে প্রাইভেট বন্দুকধারী হিসেবে কাজ করছিল। এই বন্দুকগুলি বিহার থেকে আনা হয়েছিল এবং ভুয়া লাইসেন্সের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
অভিযুক্তদের নাম হল বিকি যাদব, শেখ রেফাই, প্রকাশ নোনিয়া, গোপাল কেশরী এবং জগনারায়ণ সিং। এরা সবাই কুলটি থানার ধামোমেন এবং ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
অভিযানের সময় পুলিশ ২টি ডাবল ব্যারেল বন্দুক, ৩টি সিঙ্গল ব্যারেল বন্দুক এবং ১৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
অন্যদিকে, কাল্যাণেশ্বরীর একটি মোবাইল দোকানে ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ক্যামেরা ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) সন্দীপ কারা এই ঘটনার বিশদ ব্যাখ্যা দেন। এই দুটি ঘটনার বিষয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন ডিসি ওয়েস্ট সন্দীপ কারা, এসিপি কুলটি শেখজাভেদহুসেন, কুলটি থানার ইনচার্জ কৃষ্ণানন্দ দত্ত এবং চৌরঙ্গী ফাঁড়ির অফিসার কার্তিক চন্দ্র ভুঁই।