সত্যেন্দ্র যাদবের রিপোর্ট, আসানসোল: শুক্রবার বার্নপুরের স্টেশন রোডে অ্যাক্সিস ব্যাংকের নিকটে হীরাপুর নাপিত সমিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির পরিপ্রেক্ষিতে সেলুন পরিষেবার মজুরির হার পুনর্বিবেচনা করা। সমিতির সদস্যরা জানান যে করোনা মহামারীর সময় নাপিত সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রশাসনের আদেশে কয়েক মাস সেলুন বন্ধ রাখার কারণে নাপিতদের গোপনে বাড়িতে গিয়ে পরিষেবা দিতে হয়েছিল, যার ফলে সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।
করোনা পরবর্তী সময়ে মুদ্রাস্ফীতি
বৈঠকে হীরাপুর নাপিত সমিতির সভাপতি বজরং শর্মা বলেন, ২০২১ সাল থেকে সেলুন পরিষেবার মজুরির হারে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে, করোনা পরবর্তী সময়ে মুদ্রাস্ফীতি দ্বিগুণ হয়েছে, যার ফলে সেলুনে ব্যবহৃত সামগ্রীর দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সমিতির সম্পাদক প্রেমচাঁদ প্রামানিক জানান, ছট পূজার পর নতুন হার কার্যকর করা হবে এবং সাপ্তাহিক সেলুন বন্ধের দিন এখন থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার হবে, যা সমস্ত সদস্য খুশির সাথে গ্রহণ করেছেন।
আসানসোল-দুর্গাপুর নাপিত সমিতির সমর্থন
এই বৈঠকে আসানসোল-দুর্গাপুর নাপিত সমিতির প্রধান সুরেশ শর্মা এবং চিত্তরঞ্জন ঠাকুরও তাদের সম্মতি প্রকাশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপসচিব অশোক ঠাকুর, আঞ্চলিক সচিব পঙ্কজ ঠাকুর, কোষাধ্যক্ষ সন্তোষ ঠাকুর, উপদেষ্টা শূত্রন ঠাকুর সহ অন্যান্য সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন হার প্রয়োগের সিদ্ধান্ত
বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি মাথায় রেখে সেলুন পরিষেবার হার বাড়ানো হবে। এছাড়াও, ছট পূজার পর থেকে সমস্ত সদস্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন। নাপিত সম্প্রদায়ের আর্থিক সঙ্কট কিছুটা লাঘব করার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।