নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: আসানসোলের মতো দুর্গাপুরও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দুর্গাপুর পৌরসভার প্রায় সব ওয়ার্ডেই জল জমার ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মূল গেটের পাশে টামলা এলাকায় জল জমে গেছে। টামলা নালা থেকে জল উঠে পুরো এলাকা ডুবে গেছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। অনেক ঘরে জল ঢুকে গিয়েছে। বহু মানুষ অন্য কোথাও আশ্রয় নিয়েছেন।
অনেক কালভার্ট এবং ছোট ব্রিজও ডুবে গেছে। অনেক ঘর, গাড়ি এখনও প্রায় সম্পূর্ণরূপে জলমগ্ন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে অবিরাম বৃষ্টির কারণে টামলা নালার জলস্তর বেড়ে গেছে। পুরো এলাকা জলমগ্ন। স্টীল পার্ক ছাড়াও, বিদ্যাসাগর পল্লীসহ নিন্মাঞ্চল থেকে মানুষ সরানোর কাজ চলছে। পুরো এলাকা ভয়াবহ দুঃশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।
এছাড়াও, দুর্গাপুর পৌরসভার ওয়ার্ড নং ২০, ২৪ এবং ২৫ এবং ফুলঝোড়ের একটি বড় অংশও জলমগ্ন হয়েছে। দুর্গাপুর শহরের বেনাচিতির ৫৪ ফিটের সংলগ্ন এলাকা, বিদ্যাসাগর পল্লী, শ্রীনগর পল্লী এলাকায়ও বড় অংশ জলমগ্ন। অনেক দোকান এবং ঘর ডুবে গেছে, জলমগ্ন অবস্থায় আটকে পড়া মানুষদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উঁচু স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। এলাকা পুলিশ নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
দুর্গাপুরে ১৯নং ওয়ার্ড বিদ্যাসাগর পল্লী এলাকার পরিস্থিতি একই রকম। ওয়ার্ড নং ২৮ এর মুচিপাড়া শিবাজী পার্কও জলমগ্ন হয়ে গেছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত মারাত্মক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখনো পর্যন্ত সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। পুরো এলাকার মানুষ চরম দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে একটি মাটির ঘর ধসে পড়েছে।
এছাড়াও, একটি সীমানার ইটের দেওয়ালও ধসে পড়েছে। দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে, তাদের দুর্গাপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্গাপুরের ওয়ার্ড নং ৩৮ এর রতুরিয়া এলাকায়, বিশু বাউরি এবং অঞ্জন ঘোষ নামের দুইজন জলের ট্যাপ থেকে জল নিচ্ছিলেন। হঠাৎ পাশের একটি কাঁচা ঘর তাদের উপর পড়ে যায়। রঞ্জন মাথায় আঘাত পেয়েছে এবং বিশু পায়ে আঘাত পেয়েছে। স্থানীয়রা তাদের দুর্গাপুর সাব-ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। এই ঘটনা পুরো এলাকায় একটি সোরগোল সৃষ্টি করেছে।
অপর দিকে,অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের পরিস্থিতি একই রকম। এখানে রাস্তা তে জল জমার কারণে সমস্ত ফ্লাইট আজ বাতিল করা হয়েছে।