আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান:
৯ জুলাই, বুধবার, ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের যৌথ আহ্বানে দেশজুড়ে সাধারণ বনধ পালিত হতে চলেছে। এই বনধের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
🗣️ পার্থ মুখার্জির বক্তব্য: “এটা জনগণের কান্না, যা সরকার শুনছে না”
সিপিএম নেতা পার্থ মুখার্জি বলেন—
“সারা দেশে শ্রমিকদের উপর অন্যায় হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, মূল্যবৃদ্ধি লাগামছাড়া, আর ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন করা হচ্ছে। এই বনধ শুধু প্রতিবাদ নয়, সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকারের দাবি।”
🚩 আসানসোলে বামপন্থীদের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল
বনধের সমর্থনে সিপিএম সহ অন্যান্য বাম সংগঠনগুলি আসানসোল শহরে একটি বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করে।
এই মিছিলে অংশ নেন শ্রমিক, ছাত্র-যুব, মহিলা এবং সাধারণ মানুষ।
“কাজ চাই, ভাঁওতাবাজি নয়”, “দাম কমাও, জনগণ বাঁচাও”—এই ধরনের স্লোগানে মুখরিত হয় শহরের রাস্তাঘাট।
📉 বনধের সম্ভাব্য প্রভাব:
- গণপরিবহন পরিষেবা (বাস, অটো, লোকাল ট্রেন)
- বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
- ব্যাংক ও বীমা পরিষেবা
- সরকারী অফিসের কাজকর্মে বিঘ্ন
প্রশাসন শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
📌 জনগণের বার্তা স্পষ্ট: “এই চুপ করে থাকার সময় নয়”
এক শ্রমিক নেতা বলেন—
“যতক্ষণ না সরকার আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছে, ততক্ষণ আমরা চুপ করে বসে থাকব না।
রাস্তাই আমাদের সত্যিকারের সংসদ।”
📝 উপসংহার:
এই বনধ শুধুমাত্র কোনও রাজনৈতিক দলের ডাক নয়—এটা দেশের শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া মানুষের সম্মিলিত আর্তনাদ।
রুটি-রোজগার, সম্মান ও নিরাপত্তার জন্য এখনই আন্দোলন জরুরি।
৯ জুলাই, গোটা দেশ দেখবে গণআন্দোলনের সত্যিকারের রূপ।